মানবাধিকার আইনে বাদ পড়েছিল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গ
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:২৯ | আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:২২
২০০৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর সারা দুনিয়ার বৈষম্যপীড়িত প্রতিবন্ধী মানুষ আর তাদের অধিকার আন্দোলনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। জাতিসংঘের সাধারন পরিষদ ৬১ তম অধিবেশনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের অধিকার সনদ অনুমোদন করে। ১৯৪৮ সালের মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণায় সকল মানুষের অধিকারের কথা ছিল। মানুষের মুক্ত হবার অধিকার, দাসত্ব বিলোপ, ভোটের অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, কাজের অধিকার, মানসম্মত জীবন যাপনের অধিকার, আইনের আশ্রয় ও বিবাহ। এর পরও জাতিসংধকে একগুচ্ছ চুক্তি ও সনদ তৈরি করতে হয়েছে। চুক্তিগুলো যখন মানুষের সুনির্দিষ্ট মানবাধিকার সুরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে এবং নির্দিষ্ট কোন জনগোষ্ঠীর সার্থ রক্ষা করতে পারেনি তখন আলাদা আলাদা সনদ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের মানবাধিকার বিশেষ স্থান দখল করতে পারেনি।
২০০৬ সালের আগেও ১৯৭৫ সালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের অধিকার বিষয়ক ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৮১ সালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের জন্য আন্তর্জাতিক বর্ষ ঘোষণা করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। ১৯৮২ সালের ৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিশ্ব কর্মসূচি ঘোষণা করে। ১৯৮৩ থেকে ১৯৯২ পর্বে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের দশক ,১৯৯৩ সালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গের সম অধিকার নিশ্চিত করতে প্রমিত বিধি প্রণয়ন করেন। তবুও বিশেষ কোন লাভ হয়নি। কর্মসূচি অ দয়া দেখানোর অন্তরালে পরে ছিল আসল উদ্দেশ্য।
অতঃপর ২০০১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ তৈরির জন্য এড-হক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়। ২০০২ থেকে ২০০৬ অবদি সাতটি বৈথক হয়। এতে ৪০ টি দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, সুশীল সমাজ এতে অংশগ্রহন করে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত