মাদারীপুরে পাওনা টাকার জন্য মিষ্টি দোকানের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৮ | আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮
মাদারীপুরে পাওনা টাকার জন্য এক মিষ্টি দোকানের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বন্ধুর বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে ৪টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র পুরাণবাজারের স্বর্ণকারপট্টীতে এ ঘটনা ঘটে। দিনদুপুরে এমন ঘটনা হওয়ায় চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এদিকে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত তপন সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামের শ্রী স্বনন্দের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাদারীপুর শহরের বাণিজ্যিক এলাকা পুরাণবাজারের যাদব মিষ্টান্ন ভান্ডারে কাজ করে সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি এলাকার হারাণ বসুর ছোট ছেলে গৌতম বসু। সপ্তাহখানেক আগে রঘুরামপুর এলাকার ফলের দোকানের কর্মচারী তপন, তার বন্ধু গৌতমের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেয়। শনিবার সকালে এই ধারের টাকা চাইতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তপন। পরে বিকেলে মিষ্টির দোকানে কাজ করা অবস্থায় গৌতমকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে তপনের বিরুদ্ধে। গৌতমের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় হামলাকারী। পরে গুরুতর অবস্থায় আহত গৌমতকে উদ্ধার করে নেয়া হয় জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে। পরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎিসক।
নিহত গৌতমের বড়ভাই মঙ্গল বসু বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মাত্র ৫০০ টাকার জন্য আমার ভাইকে প্রাণ দিতে হবে বুঝতে পারিনি। আমি এই ঘটনায় জড়িত তপনের বিচার চাই। পাশাপাশি তপনকে যারা উষ্কানি দিয়েছে তাদেরও বিচার চাই।’
মাদারীপুর জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. অখিল সরকার বলেন, ‘গৌতম নামে এক যুবককে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের গলায় ধারালো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই এই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত তপন। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত