ভর্তি বহাল চান ভিকারুননিসার সেই ১৬৯ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ১২:১৮ | আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৭
হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল করা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন করছেন সেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।রোববার (১০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় ভিকারুননিসার মূল শাখার সামনে এই মানববন্ধন শুরু হয়।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তাদের ভর্তি বাতিল করে মাউশিকে জানাতে বলা হয়। বাতিল শিক্ষার্থীরা বেইলি রোডের মূল শাখা, আজিমপুর, ধানমন্ডি ও বসুন্ধরা শাখার শিক্ষার্থী। মাউশির চিঠিতে বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃক ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা (নিজেদের নির্ধারিত) অনুসরণ না করে ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের পূর্বে জন্মগ্রহণকারী (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত) শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাটা ছিল বিধিবহির্ভূত।
এ অবস্থায়, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে বিধিবহির্ভূতভাবে ভর্তি হওয়া ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন এবং ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জনসহ মোট ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে জরুরি ভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মানববন্ধনে অভিভাবকরা বলেন, আমরা ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সব নির্দেশনা যথাযথ নিয়ম মেনে ভর্তির আবেদন করি। কর্তৃপক্ষ তা যাচাই-বাছাই করে ভর্তি বিষয়ে অনুমতি প্রদান করে। ভর্তি হয়ে বাচ্চারা ৬ মার্চ পর্যন্ত ক্লাসও করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে আদালতের রায় আসে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জন্ম নেওয়া ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা আগে থেকে কিছুই জানতাম না। প্রতিষ্ঠান থেকেও কিছু অবহিত না করে হঠাৎ করেই ভর্তি বাতিল করে আমাদের জানানো হয়। এখন আমরা বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাব? তাই আমরা চাই, বাতিল না করে ভর্তি যেন বহাল রাখা হয়।
মানববন্ধনে অভিভাবকরা আরও বলেন, সব প্রক্রিয়া মেনে ভর্তি করার পর কেন আমার ভর্তি বাতিল হবে? এর দায় মাউশি ও ভিকারুননিসার। কোমলমতি বাচ্চারা এর জন্য কেন ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
জানা গেছে, ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বিভিন্ন শাখায় এ ১৬৯ শিক্ষার্থীকে ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেন। সাড়া না পেয়ে ওই দুই অভিভাবক হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট গত ২৩ জানুয়ারি ১০ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করতে ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। সেই নির্দেশনা এফিডেভিট আকারে আজ হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত