বাগেরহাটে ভাইয়ের হাতে ভাইয়ের মৃত্যু, ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ মে ২০২২, ১৯:৪৯ |  আপডেট  : ১৬ মে ২০২৪, ০৭:৫৫

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর আমড়াগাছিয়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের মারপিটে গুর“তর আহত হয়ে বড়ভাই জাহাঙ্গীর তালুকদার (৫২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ঘটনার এক মাসের মাথায় গত ১৩ মে জাহাঙ্গীর তালুকদার মারা যাওয়ার পরে থানা পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করে লাশের ময়না তদন্ত করেছে। এদিকে জাহাঙ্গীর তালুকদারকে হত্যা করা হয়েছে বলে আইনের সহায়তা চেয়ে নিহতের পরিবার রবিবার (২২ মে) সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছে। পুলিশের সহায়তায় ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলা হয়।

শরণখোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ উত্থাপন করে নিহতের ছেলে নাইমুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, জমি নিয়ে চাচাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো। ঘটনার দিন গত ১১ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে চাচা আলমগীর তালুকদার (৪৮) আমাদের বাড়ির সীমানায় ঢুকে নারকেল গাছ থেকে জোরপূর্বক ডাব পাড়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আমার পিতা জাহাঙ্গীর তালুকদার বাধা দিলে তাকে গাছের সঙ্গে বেধে মারপিট করে। আমার পিতাকে লোহার রড দিয়ে মুখে আঘাত করলে তার মুখ থেঁতলে যায়। রডের আঘাতে একটি দাঁত ভেঙে যায় এবং দুইটি দাঁত মারাত্মকভাবে জখম হয়। পিতার চিৎকার শুনে আমার মা তাসলিমা বেগম ছুটে গেলে তাকেও পরনের শাড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে বেধড়ক মারপিট করে। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় পিতাকে উদ্ধার করে শরণখোলা হাসপাতলে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে রেফার করেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনার এক মাস তিন দিন পর মারা যান তিনি। নাইমুর আরো বলেন, আমার পিতাকে তারা পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটানার পেছনে থেকে কলকাঠি নাড়ছেন আমার আরেক চাচা শরণখোলা সরকারি কলেজের প্রভাষক জামাল হোসেন তালুকদার। তার পরিকল্পনায় আমার পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার ইন্ধনে হত্যাকারী আলমগীর তালুকদার ও তার ছেলে রোকন তালুকদার অব্যাহতভাবে আমাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের হুমকিতে আমরা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছি। থানা-পুলিশ মামলা নিচ্ছেনা ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভাষক জামাল হোসেন তালুকদার বলেন, এসব ঘটনা সম্পর্কে আমার কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। তারা অহেতুক আমাকে জড়িয়ে আমার মান সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

শরণখোলা থানার ওসি ইকরাম হোসেন বলেন, পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে পাঠাই এবং ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত