বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এসব কী হচ্ছে

  মহিউদ্দিন খান মোহন

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২১, ০৮:৫৬ |  আপডেট  : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৩

আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট। দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। এদিনে একটি স্বাধীন দেশ, একটি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছিল। বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে হয়তো অনেক হত্যাকান্ডের নজির আছে। কিন্তু যিনি একটি জাতিকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন, জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য বানিয়ে লড়াই করেছেন স্বৈরশাসক আর জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে এবং শেষ পর্যন্ত এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা, সেই স্বাধীন দেশের মাটিই কিনা লাল হয়েছিল তাঁর বুকের রক্তে! এ এক নির্মম ট্র্যাজেডি। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা হত্যা করেছিল, তারা ভিন্ন কোনো দেশ বা গ্রহ ধেকে আসেনি। তারা এদেশেরই মানুষ। কিন্তু সেদিন ওরা আর মানুষ থাকেনি। রূপ নিয়েছিল অমানুষের। তাই দেবতুল্য ওই মানুষটির বুকে গুলি চালাতে ওদের বিবেকে বাঁধেনি, হাত কাঁপেনি। 

বস্তুত বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের ফলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতিতে এসেছিল এক বিরাট পরিবর্তন। তাঁর নেতৃত্বে অগ্রসরমান বাংলাদেশ থমকে দাঁড়িয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা, পদক্ষেপ বা কর্মসূচি নিয়ে আমদের কারো কারো মতপার্থক্য থাকতে পারে। বঙ্গবন্ধু নিজেও সেটা জানতেন এবং মানতেন। তিনি ছিলেন একজন উদারমনের মানুষ। সিনিয়রদের সম্মান করা ছিল তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও তিনি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে পিতৃজ্ঞানে শ্রদ্ধা করতেন। বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদে তিনি ছিলেন সংসদ নেতা। আর অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান ছিলেন বিরোধী গ্রুপের লিডার। প্রবীণ একজন রাজনীতিকের মুখে শুনেছি, সংসদ অধিবেশনে বক্তৃতা করার সময় আতাউর রহমান খানের প্রসঙ্গ এলেই বঙ্গবন্ধু তাঁকে ‘আমার নেতা’ বলে সম্বোধন করতেন। বয়োজেষ্ঠ্যদের প্রতি এই যে সম্মান জানানোর মানসিকতা, এটা বঙ্গবন্ধুকে মহান করেছে, নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।

বঙ্গবন্ধু এদেশটিকে বড় ভালোবাসতেন। এদেশ, এদেশের মানুষের জন্য তিনি আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি চেয়েছিলেন শোষণ-বঞ্চনাহীন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে। যেখানে থাকবে না কোনো দুর্নীতি- অনিয়ম। স্বাধীনতার পরে আমাদের দেশে নানা স্তরে দুর্নীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। তিনি সেসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। ওই সময়ে দেওয়া তাঁর বক্তৃতা থেকে বোঝা যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর মনোভাব কতটা কঠোর ছিল। তিনি সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী সবাইকে কঠোর ভাষায় বলেছিলেন- দুর্নীতি অনিয়ম থেকে সরে আসতে। তিনি বলতেন, ‘আমার কৃষক দুর্নীতি করে না, আমার শ্রমিক দুর্নীতি করে না। দুর্নীতি করে মাত্র ফাইভ পার্সেন্ট শিক্ষিত মানুষ। এরা হয় আমলা, না হয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, টাউট-বাটপার’। কী প্রখর দৃষ্টি ছিল বঙ্গবন্ধুর! তিনি দুর্নীতির সঠিক কারণটি ধরতে পেরেছিলেন। 

আজ তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায়। তিনিও চেষ্টা করছেন এদেশটাকে এগিয়ে নিতে। তকেও একটি কঠিন সময় অতিক্রম করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক মতভেদ থাকা সত্বেও এটা স্বীকার করতেই হবে যে, তিনি অত্যন্ত দৃঢ় হাতে সরকারের হালটি ধরে আছেন। গত এক দশকে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, অবকাঠামোগত দিক দিয়ে বাংলাদেশ যে উন্নতি লাভ করেছে, একমাত্র একচোখা লোক ব্যাতীত কেউ তা অস্বীকার করতে পারবে না। তারপরও নানা বিষয়ে নানা কথা উঠছে। সেটাই স্বাভাবিক। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সরকারের কাজে বিরোধীরা সমালোচনা করবে তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। তবে, চোখের সামনে যে সত্য সূর্যের মতো জ্বলজ্বল করছে তাকে অস্বীকারের চেষ্টা সৎ রাজনৈতিক চিন্তার প্রতিফলন ঘটায় না। সরকারের সাফল্যের প্রশংসা না হোক, অন্তত স্বীকার করেও যে সরকারবিরোধী রাজনীতি করা যায়, আমাদের রাজনীতিকরা যেন সে কথাটা ভুলেই গেছেন। তারা বিরোধী দল হিসেবে সরকারের সব কাজের বিরোধিতা করাকেই দায়িত্ব-কর্তব্য মনে করেন।  আমরা এখন করোনা মহামারীর ভয়ঙ্কর সময় পার করছি। এ সময়ে আমাদের রাজনীতিকদের ইতিবাচক মনোভাবের কোনো বহিঃপ্রকাশ কি আমরা দেখেছি? নানা সীমাবদ্ধতা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বহীনতার কারণে অনেক বিরূপ পরিস্থিতিতে আমাদের পড়তে হয়েছে। তারপরও বলতে হবে করোনা পরিস্থিতিকে সরকার বেশ ভালভাবেই মোকাবিলা করে চলেছে। কিন্তু আমরা যারা নাগরিক তারা কি আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছি? সরকার স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জারি করেছে স্বাস্থ্যবিধি, দিয়েছে বিধিনিষেধ, লকডাউন। কিন্তু আমরা সেসব বিধিনিষেধকে অমান্য করে চলেছি। ভ্যাকসিনের কথাই ধরুন। ভারত থেকে অ্যাস্ট্রজেনেকার ভ্যাকসিন আসার পর একটা অপপ্রচার হলো এ টিকা নেওয়া যাবে না। ওটা নাকি  ভাল নয়। টিকা সম্পর্কে নানা ধরনের অপ্রচারের ফলে প্রথমদিকে টিকা নেওয়ার মানুষের অভাব দেখা দেয়। সরকার বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চালায় জনগণকে ভ্রাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে। যারা অপপ্রচার চালিয়েছিল, এখন তারাই পিঁপড়ার সারির মতো টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে লাইন দিচ্ছে। সকাল দশটায় যে টিকা দেওয়া হবে, রাত তিনটার সময় গিয়ে মানুষ লাইন দিয়ে বসে থাকছে। আসলে আমরা বাঙালিরা বড় আজব চীজ। কখন কোনটার ওপর ক্রাশ খাবো তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই।

রাজনীতি আজ চরম বিতর্কের বিষয়। কারো কারো কাছে পরিত্যাজ্য বলে বিবেচিত। কিছু মানুষের কর্মকান্ড সাধারণ মানুষকে হতভম্ব করে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাজনীতি আজ পুজি বিহীন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে- এ অভিযোগও করেন অনেকে। এ অভিযোগকে এক ফুঁৎকারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। রাজনীতির নামে এখন চলছে নানারকম ধান্দাবাজি। এসব ধান্দাবাজি নিয়ে এই কলামে গেল কিস্তিতে আলোচনা করেছি। আজ শুধু বলতে চাই,  ওইসব আগাছাদের বেড়ে উঠতে দিচ্ছে কারা? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি তাদেরকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন? সরকারের পদক্ষেপ দেখে মনে হয় তিনি তা পেরেছেন। তাই সাহেদ, পাপিয়া, হেলেনা, দরজী মনিররা এখন কারাগারে বন্দী। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে আগাছামুক্ত করার কথা ভাবতেন। সে দায়িত্ব আজ বর্তেছে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার ওপর। 

সমাজের নানা স্তরে বাসা বেঁধেছে ঘুঁণপোকা। ওরা কুরে কুরে খাছে আমাদের সামাজিক অবকাঠামোকে। আজ সারাদেশ তোলপাড় হচ্ছে ঢাকাই ফিল্মের উঠতি নায়িকা পরীমণি, মডেল পিয়াসা-মৌদের নানা মুখরোচক খবরে। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় উঠে আসছে সেসব খবর। একজন চিত্রাভিনেত্রী কয়েক বছরের মধ্যে কী করে সাড়ে তিন কোটি টাকার লেটেস্ট মডেলের গাড়ির মালিক হয়, কী করে তার বাসায় মদের গাডাউন তৈরি হয়, কী করে সে তার বিলাসবহুল বাসায় নিয়মিত মদের জলসা বসাতে পেরেছে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উচ্চারিত হচ্ছে। পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে মডেল পিয়াসা-মৌয়ের বেকারত্ব সত্ত্বেও বিলাসী জীবন যাপনের খবরও এসেছে। তাদের প্রত্যেকের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক বা একাধিক বহুমূল্যের গাড়ি। কীভাবে কোত্থেকে এলো এগুলো? পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে জানানো হলো এসব অভিনেত্রী ও কথিত মডেলের বৈভবের পেছনে যারা রয়েছে, যারা ওদের বাসার আসর গুলজার করত, সেসব রথী-মহারথীদের তলিকা হচ্ছে। এমন কি পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকার খবরে বলা হলো, অন্তত জনাসাতেক ‘র্কীতিমান’ মানবের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আসছে খুব সহসাই। কিন্তু একদিন পরেই বলা হলো এরকম কোনো তালিকা হচ্ছে না। এমনকি অমন তালিকা করার কোনো এখতিয়ারই নাকি পুলিশের নোই! কেন এমন ইউটার্ন? বলা হলো তালিকার কথা বলে সম্মানীয় (?) ব্যক্তিদের কাছে নাকি কারা চাঁদাবিাজির চেষ্টা করছে। ভয় পেয়ে ওই ব্যক্তিরা পুলিশের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন। তাই এ সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তালিকার কথা শুনে উনারা ভয় পাবেন কেন? তারা যদি পরীমণি-পিয়াসাদের দরবারে অতিথি হয়ে না থাকেন, তাহলে তাদের ভয় পাবার কী আছে? এখানেই ‘ডাল মে কুছ কালা হ্যায়’ কথাটি প্রাসঙ্গিক হয়ে আসে। তাহলে কি তথাকথিত সম্মানীয়দের  মান বাঁচাতে পুলিশ কতিপয় অসৎ চরিত্রের মানুষের অপরাধ জনসমক্ষে আসতেদিতে চাচ্ছে না? 

সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিল। সে তার নামের সার্থকতা প্রমাণ করতে কর্তব্য-কর্মকে শিথিল করে নায়িকা পরীমণির সাথে মেতে উঠেছিল রঙ্গলীলায়। পরীমণির সাথে তার মাখামাখি, তার সরকারি বাসায় দুইজনের একসঙ্গে আঠারো ঘণ্টা নিবিড়ভাবে কাটানো, কোনো এক জন্ম দিনে তাদের দৃষ্টিকটু ঘনিষ্ঠ ভঙ্গীতে কেক খাওযর ছবি এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। অভিযোগটি ওঠার পর এডিসি গোলাম সাকলায়েনকে ডিবি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্য জনমনে বিস্ময়ের সৃষ্টি করে। তিনি সংবাদমাধমে প্রকাশ্যেই বলেন, প্রাপ্ত বয়স্ক দুইজন নারী-পুরুষ যদি উভয়ের সম্মতিতে মিলিত হন, তাহলে তাদেরকে শাস্তির কোনো বিধান নেই। এমন কি তিনি এও বলেন যে, নায়িকা পরীমণির সাথে এডিসি গোলাম সাকলায়েন শিথিলের অনৈতিক সম্পর্কের জন্য বড়জোর একশ টাকা জরিমানা করা যায়। তার এ বক্তব্যে দেশের বিবেকবান মানুেষের বিস্ময় সীমা ছাড়িয়ে গেছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার সরকারি বাসভবনে একজন পরনারীকে নিয়ে একান্তে সময় কাটানো কি নৈতিকস্খলন ও পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত অপরাধ নয়? অবশ্য পরদিনই তিনি তার বক্তব্য একটু বাঁক পরিবর্তন করেছেন। বলেছেন, পরীমণির সাথে এডিসি গোলাম সাকলায়েনের অনৈতিক সম্পর্ক পুলিশকে বিব্রত করেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা সে ব্যবস্থা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। 

পাপিয়া, হেলেনা, পরীমণিদের এই বাড়বাড়ন্তের পেছনে শক্তিধরদের মদত বা আস্কার এখন আর লুকোছাপার বিষয় নেই। এদের অনেকের সাথেই ওইসব নষ্ট-ভ্রষ্টদের হাস্যোজ্জ্বল ছবি আমরা সামাজিক মাধ্যমে দেখেছি। ছবি প্রসঙ্গেই বঙ্গবন্ধুর আমলের সাড়া জাগানো একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার এক সিনিয়র সদস্যের সাথে তখনকার এক নামিদামি অভিনেত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু তাকে মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করেন। এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধূর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচর এক প্রবীণ রাজনীতিকের কাছে সে ঘটনার বিবরণ শুনেছিলাম; যিনি ওই মন্ত্রীরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। খবরটি পেয়ে ওই রাজনীতিক ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছে। তাকে দেখেই বঙ্গবন্ধু কিছু না বলে তাঁর টেবিলের ড্রয়ার খুলে কয়েকটি ছবি সামনে ছড়িয়ে দেন। ছবিগুলো দেখে ওই নেতা ‘তাইলে যাই’- বলে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে থামিয়ে বললেন, কী জন্য আইছিলি বলবি না? ওই নেতা বলেছিলেন, ক্যামনে কমু? যা  দেখাইলেন, তারপর কি আর কথা বলার উপায় আছে? ওই ছবিগুলো ছিল সেই মন্ত্রী ও অভিনেত্রীর একান্ত অন্তরঙ্গ মুহুর্তের। 

নীতি-নৈতিকতার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত কঠোর। অভিযোগ ওঠা মাত্র মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছিলেন। কিন্তু নানা ধরনের ছবি-ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পরও এডিসি গোলাম সাকলায়েন পুলিশে বহাল তবিয়তে আছে। কেন তাকে এখনও বরখাস্ত করা হচ্ছে না? সমস্যাটা কোথায়? চারদিকের এসব কান্ড কারখানা দেখে তাই প্রশ্ন জাগে- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এসব কী হচ্ছে?

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।


 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত