বগুড়ার আদমদীঘিতে আখ চাষে সফল কৃষক ভুট্টু

  মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম (উজ্জল)

প্রকাশ: ৭ জুন ২০২৩, ১১:০৬ |  আপডেট  : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১১

কৃষি পন্য খামারে মালোশিয়ায় ১৬ বছর ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজ দেশে ফিরে মাত্র দেড় বিঘা জমিতে গান্ডারী জাতের আখ (কুশার) চাষ করে সফল হয়েছে কৃষক আজিজার রহমান ভুট্টু। কৃষক আজিজার রহমান ভুট্টুর বাড়ী বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের তিলোচ কান্ডারীপাড়া গ্রামে। আখ দেশের খাদ্য ও শিল্পে ব্যবহার্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থকরী ফসল। এমন চিন্তা মাথায় রেখেই বাড়ীর পাশে নিজের দেড় বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। ২০১৮ সালে মালোশিয়া থেকে দেশে ফিরে প্রথমে সে গ্রামের পাশে মরহুমগাড়ী নামক একটি বড় পুকুরের পার এ্যাড.তবিবর রহমানের কাছ এক লাখ টাকায় লিজ নিয়ে পেঁপে ও কলা চাষ শুরু করে। প্রায় তিন বছর পেঁপে ও কলা চাষ করে প্রায় ৬ লাখ টাকা আয় করেন।

এরপর কৃষক আজিজার রহমান ভুট্টুর মাথায় চিন্তা আসে সে আখ (কুশার) চাষ করবেন। তার চিন্তা ভাবনা কাজে লাগাতে কৃষক আজিজার রহমান ভুট্টু পার্শ্বের কুন্দগ্রাম হাট,চাঁপাপুর হাট,নশরতপুর হাট,কড়ই হাট,শিববাটি হাটে যারা আখ (কুশার) বিক্রি করতো তাদের কাছ থেকে আখের মাথার অংশ ( চারা) সংগ্রহ করে গত বছরের জুন মাসে তার বাড়ীর পাশে নিজের দেড় বিঘা জমিতে আখের মাথার অংশের চারা গুলো রোপন করেন। রোপনকৃত ওই চারা গুলোকে দিনে দিনে পরিচর্যার পাশাপাশি পানি দেয়া,ঔধষ ব্যবহার সহ সঠিক যত্ন নেয়া প্রায় এক বছরের মধ্যে পরিপূর্ণ আখ (কুশার) এ পরিনত হয়েছে। এই এলাকার মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী না হলেও কৃষক আজিজার রহমান ভুট্টু মালোশিয়ায় কৃষি পন্য খামারে কাজ করার অভিজ্ঞাতাকে কাজে লাগিয়ে তার জমিতে আখ চাষ করে সফল হয়েছে। বর্তমানে তার ক্ষেতের আখ যেমনটা দেখতে সুন্দর, তেমনটা মোটাতাজা হয়েছে। আর এক মাস পরেই তার ক্ষেতের আখ বিক্রি করা যাবে। কৃষক আজিজার রহমান ভুট্টু জানান,দেড় বিঘা জমিতে এক বছর আগে আখের চারা রোপন করেন। তার ক্ষেতে মাটি সংস্কার,সেচের পানি দেয়া,ঔষধ পত্র সহ প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। 

বর্তমানে তার ক্ষেতে যে পরিমান গান্ডারী জাতের আখ (কুশার) হয়েছে তা বিক্রি করলে প্রায় ১০ লাখ বিক্রি করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তার এই আখ চাষের সফলতা এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আশপাশের কৃষকরা প্রায়ই এসে তার ক্ষেতের আখ চাষের নিয়ম জেনে যাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী বলেন,আখ একটি উপকারী ফল। আখের রসে ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আখের রস শরীরের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করা সহ কিডনি সুস্থ্য রাখে। এছাড়াও গ্রীস্মের দাবহাহে শরীরে জলের অভাব পুরন করে। আখ চাষে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সকল প্রকার পরামর্শ দেয়া হয়। পাশাপাশি কৃষকেদের আখ চাষে আগ্রহী হতে আহবান করেন।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত