ফাইভ-জি চালু নিয়ে বিপাকে আমেরিকা
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪৪ | আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২১:৫৫
ফাইভ-জি চালু নিয়ে বিপাকে পড়েছে প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ আমেরিকা। নতুন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ফাইভ জি পরিষেবা শুরুর আগে সেদেশের বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন বিমানসংস্থাগুলো।
আজ বুধবার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সি ব্যান্ড ফাইভ জি পরিষেবা শুরু করতে চলেছে মার্কিন মোবাইল পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থা ভ্যারিজন ও এটি অ্যান্ড টি। এই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জেরে অবতরণের সময় বিমানের যন্ত্রাংশ বিভ্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা বিমানসংস্থাগুলোর। ইতিমধ্যে সেকথা জানিয়ে মার্কিন পরিবহণসচিবকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাগুলো।
মার্কিন বিমানসংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে জেরে বহু বিমানের অবতরণে প্রভাব পড়তে পারে। অবতরণের সময় বিমান উচ্চতা মাপার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করে ফাইভ-জি’র জেরে সেটি বিভ্রান্ত হতে পারে। এতে ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে মার্কিন বিমান পরিসেবায়। ধাক্কা খেতে পারে অর্থনীতি। বিদেশের মাটিতে আটকে পড়তে পারেন মার্কিন নাগরিকরা। রানওয়ে থেকে অন্তত ৩.৭ কিলোমিটার নতুন ফাইভ জি তরঙ্গ ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা। চিঠি দিয়েছেন মার্কিন পরিবহণসচিবকে।
যদিও মার্কিন বেসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএএ জানিয়েছে, যে ৮৮টি বিমান বন্দররের আসেপাশে ফাইভ জি লঞ্চ হচ্ছে তার মধ্যে ৪৮টিতে প্রভাব পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রানওয়ের কাছে ফাইভ-জি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সেখানে এখনও বিমান চলাচলে প্রভাব পড়েনি। সূত্র: রয়টার্স
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত