তুচ্ছ ঘটনায় হকারকে মারধোর

প্রতিবাদ করায় দিনমজুরের দাঁড়ি ছিড়ে ফেলার অভিযোগ

  টি.আই সানি, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২, ১৯:১৬ |  আপডেট  : ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:০৫

কথায় আছেনা..উপকারের ঘারে লাথি..মার্কেটের সামনে এক হকারকে বাঝে ভাষায় গালিগালাজ করায় প্রতিবাদ করেন এক দিনমজুর। প্রতিাব করায় ওই দিনমজুরের মুখের দাড়ি ছিড়ে ফেলেছে দোকানদার। গাজীপুরের শ্রীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় এক দিনমজুরের দাঁড়ি  ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুইটার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের জৈনা বাজার টু কাওরাইদ সংযোগ সড়কের সিদ্দিক প্লাজা নামক মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনতা  অভিযুক্তকে মার্কেটে অবরোদ্ধ করেরাখে। ক্ষিপ্ত জনতা অভিযুক্তের ব্যবসায়ীর  বিচার দাবীকরে  মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ করেন।  

ভুক্তভোগী মানিক মিয়া  ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাদাকানাই গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি জৈনাবাজার এলাকার হাদিস বেন্ডরের বাড়িতে ভাড়া থেকে দিনমজুরের কাজ করেন।

অপরদিকে  অভিযুক্ত মো. আব্দুর রহিম (৪৫) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হাসেম মিয়ার ছেলে। হাসেম মিয়া জৈনা বাজার টু কাওরাইদ সড়কের সিদ্দিক প্লাজা নামক মার্কেটের দিপাবস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী।

জানাযায়, বাজারের রাস্তায় হেঁটে ছাইফুল নামক ফেরিওয়ালা শাড়ি লুঙ্গী  বিক্রি করছিলো। মানিক মিয়া সিদ্দিক প্লাজার সামনে ফেরিওয়ালা কে থামিয়ে কাপড় পছন্দ করছিলেন।  

এসময় ব্যবসায়ী  রহিম এসে মার্কেটের সামনে দোকান খোলায় ফেরিওয়ালার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন।  মানিক মিয়া জানান, আমি প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত ব্যক্তি আমাকে মারপিটে উদ্ধত হয়। এক পর্যায়ে সে আমাকে  টানা হেঁচরা করে মার্কেটের ভিতর  নিয়ে যায়। মারপিট করে আমার  দাঁড়ি ছিড়ে ফেলে। ডাক চিৎকার শুনে  বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে দাঁড়ি ছেড়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। এতে স্থানীয় দের মদ্যে উত্তেজনর সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত রহিমকে মার্কেটে অবরোদ্ধ করে রাখে। রহিমের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করে।  

স্থানীয়রা বলেন, তেলিহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. মোছলেউদ্দিন স্থানীয় মসজিদের দু’জন ইমাম কে ডেকে এনে এই বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করলেও সমাধান হয়নি।

জৈনা বাজার বায়তুল আমিন জামে মসজিদের ইমাম মুফতি হেদায়েতুল্লা রহমানি বলেন, দাঁড়ি নবীর সুন্নত।  দাঁড়ি ছেঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ইমাম চলে গেছে। এটা নেক্কার জনক কাজ, তাওবা করে আল্লাহ্’র কাছে ক্ষমা চয়তে হবে।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই মো. নাজমুল হক বলেন,৯৯৯ ফোনের মাধ্যমে  জৈনা বাজারে বিক্ষোভের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। স্থানীয় লোকজনের কাছে ঘটনার বিস্তারিত শুনে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এবং লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী অভিযোগের ভিত্তিতে  আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত