পেটে বাড়তি মেদ?

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ১২:০৮ |  আপডেট  : ২৩ জুলাই ২০২৪, ১৩:১২

পেটের মেদ কমানো কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। দেহের এ অংশের অতিরিক্ত মেদ উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, পিত্তরোগ ও ঘুমের সমস্যা তৈরি করে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ হলো, কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় রয়েছে, যা আপনার পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।

১. শসা

কখনও কখনও সহজ সমাধানগুলোই ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর। শসা দিয়ে তৈরি পানীয় সেগুলোর মধ্যে একটি। এটি শুধুমাত্র তৃষ্ণা মেটায় না বরং ওজন কমানোর যাত্রায়ও সাহায্য করে।শসার জলীয় সংমিশ্রণে প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ, ভিটামিন এবং ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে, যা এটিকে আপনার পুষ্টি গ্রহণ এবং ওজন কমানোর একটি চমৎকার উপায় করে তুলেছে। শসায় রয়েছে ইরেপসিন, এটি একটি হজমকারী এনজাইম যা প্রোটিন ভাঙার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সবজিটি পরজীবী বিরোধী হিসাবেও কাজ করে, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

২. গ্রিন টি

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি আমাদের সামগ্রিক ওজন হ্রাসের পাশাপাশি পেটের মেদ ঝরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জনপ্রিয় এ পানীয় আমাদের শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে সারাই করে। ক্যান্সারের মতো কিছু প্রাণঘাতী রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকর এটি।

৩. দারচিনির চা 

দারচিনি এমন একটি মসলা, যার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। দারচিনি মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক। পেটের চর্বি জমা কমিয়ে দেয় দারচিনির চা। এ ছাড়া এই সুপরিচিত মসলা আমাদের শরীরকে প্রতিনিয়ত সতেজ এবং সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে কার্যকর করতে সহায়তা করে। এটি  হৃদরোগের জন্যও খুব উপকারী। এক কাপ দারচিনি চা খেলে তা শুধু অতিরিক্ত চর্বি কমাতেই সাহায্য করে না, বরং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

৪. কফি

কফি আমাদের শরীরের মেদ কমাতে বেশ কাজে দেয়। কফিতে পলিফেনল-ক্লোরোজেনিক এসিড থাকে, যা আপনার পেটের চর্বি কমাতে কার্যকর । তবে কফি পরিমিত খাওয়া প্রয়োজন। চিনি ছাড়া দুই-তিন কাপ ব্ল্যাক কফি পেটের চর্বি কমানোর একটি ভালো উপায়।

৫. মধু

মধু শরীরকে শক্তি জোগায় এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে।  মধু শরীরের চর্বি হ্রাস রোধ করে। একটি ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হওয়ায় এটি অভ্যন্তরীণ চর্বি কমিয়ে দেয় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এই  পানীয় খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ করবে না। মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়।

২) ডাবের পানি

ফ্রেশ ডাবের পানির চাইতে অসাধারণ পানীয় আর কিছুই হতে পারে না। এটা উপস্থিত থাকে প্রচুর মিনারেল ও ইলেক্ট্রোলাইট। যত বেশি ইলেক্ট্রোলাইট প্রবেশ করবে শরীরে, আপনি তত ঝরঝরে ও এনারজেটিক অনুভব করবে। আর উচ্চ মাত্রার ইলেক্ট্রোলাইট মেটাবোলিজম বৃদ্ধিতেও দারুণ সহায়ক সব মিলিয়ে পেটের মেদ তথা ওজন কমবে দ্রুত।

এ ছাড়া পেটের চর্বি কমানোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত