নন্দীগ্রামে নগদ টাকায় বাড়ি থেকে ধান বিক্রয় করতে পেরে খুশি কৃষকরা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৩৫ | আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৭

বগুড়ার নন্দীগ্রামে চলতি বোরো মৌসুমে নগদ টাকায় বাড়ি থেকে ধান বিক্রয় করতে পেরে বেশ খুশি কৃষকরা। গত কয়েক বছর আগেও কৃষকদের কষ্টে ফলানো ধান উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রয় করতে হতো। এখন প্রতিটি গ্রামে বেপারিরা গিয়ে দরদাম করে কৃষকদের ধান ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকদের সময় ও খরচ উভয়ই কমে গেছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিমণ ধানের দাম ১০০ টাকা কমেছে বলে জানান কৃষকরা।
এ উপজেলার কৃষকরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে প্রতিমণ মিনিকেট ধান বিক্রয় হয়েছে ১৪৫০ টাকায়। সেই ধান এখন বিক্রয় হচ্ছে ১৩৫০ টাকায়। এতে প্রতিবিঘা জমি থেকে কৃষকরা দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা কম পাচ্ছে। এ বছরও নন্দীগ্রামে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই প্রতিবিঘা জমিতে ২৫-২৮ মণ হারে ধান পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলার হাটলাল গ্রামের আদর্শ কৃষক মিনহাজুর রহমান হাবিব বলেন, আগে কৃষকদের বিভিন্ন হাটে ধান নিয়ে গিয়ে বিক্রয় করা লাগতো। এখন বাড়ি থেকেই ধান বিক্রয় করা যায়। গত সপ্তাহের চেয়ে এখন ধানের দাম প্রতিমণে ১০০ টাকা কমে গেছে। এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে আগের চেয়ে ধানের উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। তারপরেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো ধানে ভালোই লাভ পাওয়া যাবে।
ধানের বেপারি মুনিরুজ্জামান বলেন, আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ধান কিনছি। হাট-বাজার ও গ্রাম থেকে কেনা ধানের বাজার প্রায় সমানই। গ্রামে গিয়ে ঠিকি দেখে ধান কেনা যায়। এতে ঝামেলা কম হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, চলতি মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়। এখন পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ধানের ফলন ও দাম বেশ ভালো রয়েছে। কৃষকরা এখন তাদের বাড়ি থেকেই ধান বিক্রয় করতে পারছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত