দেশের জনগণকে টিকা দেয়া একটি ‘জরুরি’ বিষয়: অর্থমন্ত্রী   

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২১, ২১:৩০ |  আপডেট  : ২৫ মার্চ ২০২৪, ০২:০৫

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল আজ বলেছেন, দেশের জনগণকে কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে টিকা দেয়া একটি ‘জরুরি’ বিষয়। সরকার জনগণকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যত দ্রুত সম্ভব টিকা দেয়ার জন্য সব রকম উপায় অনুসরণ করছে। তিনি বলেন, যদিও আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন (টিকা সম্পর্কে), তবে আপাতত কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে টিকা করণ জরুরি। আমাদের যত দ্রুত সম্ভব জনগণকে টিকা দিতে হবে এবং আমরা সম্ভাব্য সমস্ত উপায় অনুসরণ করছি। ইনশাআল্লাহ আপনারা ভালো ফলাফল পাবেন। অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) এবং ক্যাবিনেট কমিটি অন গভর্নমেন্ট পারচেজ (সিসিজিপি) নিয়ে দুটি পৃথক বৈঠকে সভাপতিত্ব করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

বিদায়ী অর্থবছরে (এফওয়াই২১) সামষ্টিক অর্থনৈতিক অর্জন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সরকার এর আগে যে সব অনুমান করেছিল, তার প্রায় সবগুলোই বাস্তবায়ন হয়েছে যদিও এটি ‘অবিশ্বাস্য’ বলে মনে হতে পারে। তিনি বলেন, এমনকি এই মহামারীর সবচেয়ে কঠিন ক্ষেত্র একটিই অর্থাৎ রাজস্ব সংগ্রহ, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অর্জনের পাশাপাশি ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি এবং আভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স প্রবাহ প্রত্যক্ষ করেছে। সব সত্য প্রমাণিত হয়েছিল, যা হওয়ার কথা ছিল। প্রবাসীরা তাদের ভালোবাসা, আবেগ এবং দায়িত্ব থেকে দেশবাসীর কাছে বাংলাদেশে অর্থ পাঠিয়েছেন।

কামাল বলেন, আভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স প্রবাহ এ বছর ২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত যা বাংলাদেশের জন্য সর্বকালের সর্বোচ্চ হবে। তিনি বলেন, আমরা ‘না’ তে বিশ্বাস করি না বরং আমরা ‘হ্যা’ বিশ্বাস করি। সর্বশক্তিমান আল্লাহ সর্বদা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আমাদের পাশে দাঁড়াবেন... মহামারী সত্ত্বেও আমদের সবাই সুস্থ থাকুক, সক্রিয় এবং আমাদের জীবন সুন্দর হয়ে উঠুক।

সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন বলবৎ করার আগে দরিদ্রদের জন্য সরকারী পদক্ষেপ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার দরিদ্র শ্রেণিকে সমর্থন করে চলেছে কারণ ইতোমধ্যে দরিদ্র শ্রেণির মানুষের কাছে নগদ হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চিহ্নিত দরিদ্রদের আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি পাশাপাশি খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের একটি পৃথক কমিটি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও বিষয়টি দেখাশোনা করছেন। তিনি আরও বলেন, দরিদ্রদের দেখাশোনা করা হচ্ছে এবং পরবর্তী দিনগুলোতেও তাদের দেখাশোনা করা হবে।

৩০ জুনের পর আরএমজি মালিকদের ঋণ পুনর্র্নিধারণের আবেদন সম্পর্কে আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি এবং কখন তা চূড়ান্ত করা হবে, তখন সবাই এই ঘটনাবলী সম্পর্কে জানতে পারবে। কামাল বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি বিবেচনা করছেন। সংশ্লিষ্ট সবাই এটি নিয়ে কাজ করছে... দেখা যাক আমরা কী করতে পারি।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটাও তার প্রশ্ন যে কেন লোকেরা সরকারী চ্যানেল অনুসরণ না করে অবৈধ উপায়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য মহাসাগর অতিক্রম করার সাহস করে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বারবার আহ্বান করা সত্ত্বেও মানুষ এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ উপায় অনুসরণ করে। অর্থমন্ত্রী আরেকজন প্রশ্নকারীকে বলেন, মহামারীর মধ্যে বিশ্ব পরিস্থিতির পাশাপাশি দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যয়ের বিষয়টি অনুসরণ করছে এবং এভাবে সরকারী তহবিলের অপব্যবহার ও অপচয় রোধে কাজ করছে। বিচ্যুতিগুলো সংশোধনেরও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত