টাকার অভাবে অসুস্থ্য ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছেনা ভ্যান চালক বাবা
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২২, ১৯:২৬ | আপডেট : ২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫৮
সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয় তাতে পরিবারের ছয় সদস্যের খোরাক যোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক কবির হাওলাদারের। এরমধ্যে একমাত্র ছেলে তাহমিম ইসলাম ইমরান জন্মের পর থেকে ৬বছর ধরে ব্রেইনে সমস্যা ও নানান ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। ছেলেকে বাঁচাতে ধার দেনা ও বসতভিটা বিক্রি করে দেশের নামিদামি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। কিন্তু তাতেও ছেলের কোনো উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকদের পরামর্শ দেশের বাহিরে নিলে হয়ত কিছুটা সুস্থ হবে ছোট্র ইমরান। কিন্তু সেই টাকা খরচ করার মত সামর্থ্য দিনমজুর বাবা কবির হাওলাদারের নেই। তাই একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না কবির ও তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম।
ভ্যান চালক কবির হাওলাদার জানান, আমার দুই সন্তান, এক ছেলে ও এক মেয়ে। বড় মেয়ে রায়েন্দা (আরকেডিএস) বালিকা বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়ে। আর একমাত্র ছেলে ইমরান জন্ম থেকেই জটিল রোগে আক্রান্ত। ইমরানকে জন্মের পর পরই খুলনা শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করাই। ওখানে দুইমাস রাখার পর নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়। এরপর হার্নিয়া অপারেশন করাই। পরে ছেলে দেখি আর মাথা দাড় করতে পারেনা। এরপর থেকে ঢাকা,খুলনা,বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের বড় বড় ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা করিয়েছি কিন্তু তাতেও ভাল হয়নি। বর্তমানে ওর বয়স ৬বছর। এই বয়সে যেখানে খেলাধুলা করবে সেখানে বিছানায় এবং কোলে কোলে রাখতে হয়। মাথা দাড় করাতে পারেনা,দাঁড়াতে পারেনা,কথাও বলতে পারেনা। ওর জন্ম থেকে এ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে ১২শ টাকার ওষুধ লাগে। যা আমার মতো গরীব ভ্যান চালকের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হয়না।
মা ফাহিমা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে সুস্থ দেখতে চাই। তাই ছেলেকে বাঁচাতে দেশের বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করছেন কবির হাওলাদার ও তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম। যোগাযোগ পিতা কবির হাওলাদার মোবাইল নং-বিকাশ ঃ ০১৯৬৭৫৪৪২০৫।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত