ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশের সামনে কী বিশেষ অস্ত্র নিয়ে নামছে নিউজিল্যান্ড

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৪৫ |  আপডেট  : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৪

ক্রাইস্টচার্চে কঠিন পরীক্ষার সামনে বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট পরীক্ষা হয়ে আসছে নিউজিল্যান্ডের জন্যও। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হার এড়ানো লড়াইয়ে যে তাদের নামতে হবে—এটা তারা কি আদৌ ভাবতে পেরেছিল! 

এই টেস্টে গতি দিয়ে বাংলাশকে উড়িয়ে দিতে চায় কিউইরা। সে লক্ষ্যে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে সবুজ উইকেটের পাশাপাশি গতি আক্রমণে শক্তি বাড়াতে যাচ্ছে তারা। চার ফাস্ট বোলার ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, নিল ওয়াগনার আর কাইল জেমিসনদের পাশাপাশি তারা দলে নিতে যাচ্ছে ড্যারিল মিচেলকে। 

মিচেল মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার। গত বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ৬ টেস্ট খেলা এই অলরাউন্ডারের ব্যাটিং গড় ৫০। তাঁর অন্তর্ভুক্তিতে নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারের শক্তি বাড়বে—এতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই সঙ্গে চার কিউই পেসারের সঙ্গে মিচেলের ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং ক্রাইস্টচার্চে বাংলাদেশের ওপর চাপ আরও বাড়াবে বলেই মনে করে নিউজিল্যান্ড শিবির। মিচেল দলে ঢুকলে বাদ পড়বেন রাচিন রবীন্দ্র। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে এই বাঁহাতি স্পিনারের পারফরম্যান্সে তেমন খুশি নয় নিউজিল্যান্ড দল।

ক্রাইস্টচার্চের উইকেট যে সবুজে মুড়ে দেওয়া হবে—এটা কালই বলেছেন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে যাওয়া অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রস টেলর। হ্যাগলি ওভালের উইকেট সব সময়ই সিমারদের সহায়তা করে, এবার যে উইকেটে সবুজের আভাটা অন্য সব বারের তুলনায় একটু বেশিই থাকবে—এটা না বললেও চলছে। হ্যাগলি ওভালের প্রধান মাঠকর্মী রুপার্ট বুলের কথাতেও অবশ্য এমন উইকেটের ইঙ্গিত থাকছে, যেখানে লড়াইটা হয় সমানে-সমান, নিউজিল্যান্ডের দ্য স্টাফ পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘স্বাভাবিক হ্যাগলি ওভাল উইকেটই হতে যাচ্ছে। প্রতিবারই এই উইকেটে গতি থাকে, বাউন্স থাকে। মোটকথা, এই উইকেটে লড়াইটা যেন সমানে-সমান থাকে, সে ব্যবস্থাই থাকে, এবারও তা-ই হতে যাচ্ছে।’ 

বুলের কথায় উৎসাহিত হতে পারেন বাংলাদেশি পেসাররাও। মাউন্ট মঙ্গানুইতে ইবাদত হোসেন, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদরা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। সাধারণত বাংলাদেশি পেসারদের নিয়ে যে অভিযোগ, তাঁরা ঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারেন না, সেটি দারুণ বোলিংয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন এ তিন পেসার। ইবাদত তো টেস্টের চতুর্থ ও পঞ্চম দিনের রাজা। ৬ উইকেট নিয়ে তিনি কিউইদের ব্যাটিংয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন।

ইবাদতের অসাধারণ বোলিং শেষ পর্যন্ত নিয়ামক হয়েছে বাংলাদেশের অসাধারণ জয়ে। তাসকিন, শরীফুল—দুজনেই গোটা টেস্টে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো বোলিং করেছেন। মাউন্ট মঙ্গানুইতে গতি আক্রমণই যেখানে বাংলাদেশের শক্তি, সেখানে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের প্রধান মাঠকর্মীর কথায় উৎসাহিত হতেই পারে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড গতি আক্রমণ দিয়ে বাংলাদেশ-বধের ব্যবস্থা করলে পাল্টা–জবাবও যে বাংলাদেশের হাতে আছে। 

এই টেস্টের আগে ক্রাইস্টচার্চের আবহাওয়া চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে নিউজিল্যান্ড শিবিরের কপালে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, টেস্টের প্রথম তিন দিন থাকবে কিছুটা উষ্ণ আবহাওয়া। শেষ দুই দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। তাই এই টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে কিছু করতে হলে প্রথম তিন দিনেই করতে হবে। সময়ের আগে ছুটতে যাওয়াটা শেষ পর্যন্ত তাদের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়ায় কি না, সেটি নিয়েই সন্দেহ নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যমের।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত