সিরাজদিখান রশুনিয়া-ইমামগঞ্জ সড়কে মিশুক যাত্রীবেশে ছিনতাই, আতঙ্কে এলাকাবাসী

  সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩০ |  আপডেট  : ৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৩

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইমামগঞ্জ- রশুনিয়া সড়কে সক্রিয় ছিনতাইকারী চক্রের কারণে জনমনে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। মিশুক বা অটোরিকশার যাত্রী সেজে এ চক্র নির্জন স্থানে যানবাহন থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের ওপর হামলা চালিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, দিন-রাত যেকোনো সময়েই এ সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা গত কয়েক সপ্তাহে একই কায়দায় একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও এখনো দোষীরা আইনের হাতে ধরা না পড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। এ চক্রের হাত থেকে রেহাই পেতে ইতোমধ্যে কয়েকজন চালক এবং ভুক্তভোগী সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের  তাজপুর গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে নূর আলম হাওরাদার(৪২) বলেন,গত ২ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আমি নিমতলা থেকে একটি মিশুকে বাড়ি আসার সময় আরো দুজন যাত্রী সেজে আমার সাথে আসে। কিন্তু ইমামগঞ্জ-রশুনিয়া কবরস্থান এলাকায় আসলে রাস্তায় দাড়িয়ে মাছ কিনার অজুহাতে গাড়ি থামিয়ে ধারালো ক্ষুর দেখিয়ে তারা আমাকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। আমার মোবাইল, হাতঘড়ি, নগদ টাকা সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। বাঁচার জন্য চিৎকার করলেও আশপাশে কেউ ছিল না। আজও সেই আতঙ্ক কাটেনি। আমরা রাস্তায় বের হলেও ভয় নিয়ে চলাফেরা করি।

এলাকাবাসীর দাবি, সন্ধ্যার পর থেকেই এই সড়কে পরিবহন চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে মিশুক,অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেল চালকরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। ছিনতাইয়ের ভয়ে অনেকেই  প্রয়োজন না হলে রাস্তয় বের হন না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রশুনিয়া এলাকায় এই চক্র সক্রিয় থাকলেও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের অভাবেই তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই দ্রুত পুলিশের টহল বৃদ্ধি, চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবু বকর জানান, সোমবার রাতে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন তারা, তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, শিগগিরই ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনের পথে নামার হুমকিও দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত