কাউনিয়ায় ৫১০ হেক্টর জমিতে ধানের বীজতলা

  সারওয়ার আলম মুকুল

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:১৭ |  আপডেট  : ৬ মে ২০২৪, ০২:৪৯

রংপুরের কাউনিয়ায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা আকা বাঁকা মানস নদীতে চলতি মৌসুমে সবুজের সমারোহ। যতদুর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজের গালিচা। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে কুয়াশার রোদে মানাস নদীর পাশ দিয়ে হেটে গেলে সবুজ গালিচা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। স্থানীয় কৃষকরা ইরি বোরো ধান চাষ করার জন্য বলা মানস নদী জুড়েই ধানের বীজতলা তৈরী করেছে। প্রতিবছর চারা বীজ সংকট দেখাদেয়, সেই সংকট মোকাবেলায় কৃষকরা এবার মানস নদীতে পানি না থাকায় চাহিদার চেয়ে বেশী বীজতলা তৈরী করেছে। কৃষকরা আশা করছেন প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না আসলে চলতি মৌসুমে ধানের চারার কোন সংকট হবে না। 

টেপামধুপুর লালমসজিদ এলাকার কৃষক মোঃ আমিন জানান, "মানস নদীতে এবার খুব সহজেই বীজতলা তৈরী করা গেছে।" কৃষক শফিকুল জানান, "নদীতে পানি কম থাকায় এবং কাদা থাকায় তেমন কোন খরচ ছাড়াই বীজতলা তৈরী করা গেছে। বর্তমানে চারাবীজের অবস্থাও ভাল আছে।" উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান, "চলতি মৌসুমে বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির বিপরীতে বীজতলা তৈরী লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৯০ হেক্টর, অর্জন হয়েছে ৫১০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে মানস নদীতে চাষিরা বেশী বীজতলা করেছে। এছারাও কৃষি বিভাগ থেকে সরকারী প্রণোদনা হিসেবে হাইব্রিড ধানের বীজ ২কেজি করে ২৭০০ চাষি এবং উপশি ধানের বীজ ৫ কেজি করে ২৭০০ চাষিকে দেয়া হয়েছে। বীজতলা তৈরীতে কৃষদের সবধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। অতিরিক্ত কুয়াশায় বীজতলা যেন নষ্ট না হয় সেজন্য পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে বলা হচ্ছে চাষিদের। আশা করছি মাঠে যে পরিমান চারা বীজ আছে তাতে চারার সংকট হবে না।"

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত