কর্তপক্ষ নিরব দর্শক

কাউনিয়ায় হারাগাছ পৌরসভায় ৫বছর ধরে সেতুর কাজ বন্ধ

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪৯ |  আপডেট  : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:৩৭

কাউনিয়ার হারাগাছ পৌরসভায় ৫বছর ধরে সেতুর নির্মান কাজ শেষ না করায় ৭ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ভোগান্তি চরমে। দীর্ঘ দিনেও বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি।

সরেজমিনে হারাগাছ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঠাকুরদাস মস্তেরপাড় জাবের আলীর ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মরা তিস্তা নদীর ওপর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে একটি পাকা সেতু নির্মানের কাজ শুরু করে। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য ৭৬ মিটার দৈর্ঘের সেতুর পিলার নির্মান করার পর প্রায় ৫বছর ধরে সেতুর বাকি কাজ বন্ধ হয়ে পরে রয়েছে। নদীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে সেতুর সারি সারি পিলার। সেতুটি নির্মান হলে উপজেলা ও পৌর সদরের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি এবং দীর্ঘ দিনের কৃষিপণ্যের পরিবহনের অসুবিধার দূর সহ যোগাযোগে মাইল ফলক তৈরী হতো। হারাগাছ পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই অর্থবছরে এডিবির পৌরসভার উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে দুটি দরপত্রের মাধ্যমে বাংলাবাজার দক্ষিণ ঠাকুরদাস মস্তেরপাড় জাবের আলীর ঘাটে মরা তিস্তায় ৭৬মিটার দীর্ঘ পাইল সেতু নির্মাণ কাজ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শুরু করা হয়। পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) হামিদুর রহমান বলেন, পৌর অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব ছিল না, তাই উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে দুই অর্থবছরে পৃথক দরপত্রের মাধ্যমে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ১ম দরপত্রে কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক অসুস্থ্য থাকায় সেতুটির ২০ ভাগ কাজ করে কাজ বন্ধ রেখেছে। ২য় কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদার কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে টাকা উত্তলন করেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নুর এন্টারপ্রাইজকে সেতুর বাকি কাজ শুরু করার তাগিদপত্র দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু করবে। চর পল্লীমারী গ্রামের কৃষক রহিম মিয়া বলেন, সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় তাদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য বিভিন্ন বাজারে নিতে পারছি না। বাধ্য হয়ে কম দামে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে। সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান বলেন, শুনেছি নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধিতে নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই অজুহাতে আর কত দিন কাজ বন্ধ রাখা যায় আমার জানা নাই। আমরা চাই অতি দ্রুত সেতুটির কাজশেষ করে জনসাধারনের জন্য খুলে দেয়া হোক। হারাগাছ পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)) মোঃ লোকমান হোসেন জানান, সেতুটির নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। কিন্তু সেতুটি নির্মান করতে যে অর্থের প্রয়েজন সেই পরিমান অর্থ পৌরসভার কাছে নাই। তার পরেও চেষ্টা করছি কিভাবে সেতুটির কাজ শেষ করা যায়। ২য় দরপত্রের কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যদি দ্রুত কাজ শুরু না করে তাহলে কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন টেন্ডার আহব্বান করা হবে। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত