কাউনিয়ায় সরকারি অর্থ জলে গেল, পুকুর খননের বছর না যেতেই পাড়ের মাটি পুকুরে
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২২, ১৯:০৬ | আপডেট : ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:২৯
জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প (২য় সংশোধিত) এর জলাশয় পুনঃখনন কার্যক্রমের আওতায় রংপুর জেলা মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে ৪ লাখ টাকা ব্যায়ে কাউনিয়ায় ভুমি অফিসের পুকুর খননের ১বছর না যেতেই পাড় ভেঙ্গে মাটি দিয়ে আবার পুকুর ভরাট হচ্ছে।
কাউনিয়া উপজেলা ভুমি অফিসের পুকুরটি পরিকল্পনা ও প্রাক্কলন অনুযায়ী খনন এবং সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পাড় ভেঙ্গে মাটি পুনরায় পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে সরকারের একদিকে যেমন অর্থের অপচয় হলো অন্যদিকে মৎস্য চাষ ব্যাহত হবে। এছারাও ভূমি অফিসের দেয়াল ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম সহ পুকুর পাড়ে বাড়ি করে থাকা কয়েকটি নিরীহ পরিবার চরম ক্ষতির মুখে পরেছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রংপুর জেলা মৎস্য অফিসের বাস্তবায়নে উপজেলা মৎস্য অফিসের তদারকিতে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প (২য় পর্যায়) জলাশয় পুনঃখনন এর আওতায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের ০.২৭৮ হেক্টর পুকুর ৪ লাখ ২ শত ২০ টাকা ব্যয়ে খনন ও সংস্কার কাজের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। পরিকল্পিত ভাবে প্রাক্কলন অনুযায়ী খনন ও সংস্কার কাজ না হওয়ায় কাজ শেষ হওয়ার ১বছর না যেতেই সামান্য বৃষ্টিতে পাড় ভেঙ্গে মাটি আবারো খনন কৃত পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে মৎস্য চাষ ব্যাহত সহ সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে। ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান ড্রেন সহ পুকুরে পানি প্রবাহ বন্ধ না করলে এধরনের অবস্থা হবে। আমরা কর্তৃপক্ষকে সঠিক ভাবে খনন কাজ ও পাড় বাঁধাই বুঝিয়ে দিয়েছি। উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুব উল আলম জানান পুকুরের পাড় ভেঙ্গে মাটি আবারো পুকুরে যাওয়ার বিষয়টি জেলা স্যার কে জানিয়েছি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান পুকুরের পাড় ভাঙ্গার বিষয়টি অবগত হয়েছি এখানে ভুমি অফিসের পানি আসা বন্ধ না হলে পাড় ভাঙ্গা ঠেকান মুসকিল। পরবর্তিতে বরাদ্দ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন জানান ভুমি অফিসের পুকুর পাড় ভাঙ্গার বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তা কে বলেছি ব্যবস্থা নিতে। সাধারন মানুষের প্রশ্ন সরকারের অর্থ এভাবেই জলে যাচ্ছে এ যেন দেখার কেউ নেই।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত