কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে বগুড়ার চাষীদের

  মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম (উজ্জল)

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৩, ১২:৪৭ |  আপডেট  : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৪৯

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কৃষকরা ধান, মাছ ও সবজি সহ বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। কম খরচে বেশী লাভের আশায় কলা চাষ দিন দিন এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর ফলে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাও এসেছে তাদের। 

এই উপজেলার মাটি দোআঁশ ও বেলে দোঁআশ হওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদের ক্ষেত্রে ধান আবাদকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কৃষকরা এখন পুরনো ধ্যান-ধারণা পাল্টে লাভজনক ফসল হিসেবে কলা চাষের ওপর ঝুঁকে পড়ছেন। এ উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে কলা গাছের বাগান ছিল না। কিন্তু এখন বাণিজ্যিক ভাবে গাছের বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছে এলাকার অনেক কৃষক। তবে অত্র উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখনো জমির আঁইলে, পুকুর পাড়ে, বাঁশঝাড়ে অমৃত সাগর, সবরি অনুপম, চাম্পা, নেপালি, মানিক সহ বিভিন্ন জাতের কলা বাগান করে চাষ করছে কৃষকরা । এলাকার একাধিক কলা চাষীরা জানান, এক একর জমিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করলে তাদের আবাদি কলা বিক্রি হয়ে থাকে এবং তা থেকে হাজার হাজার টাকা আয় করা যায়। ভাইরাসজনিত রোগবালাই ও মৌসুমি ঝড় কলা গাছের প্রধান শক্র। তবে এবার কলার ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। একই সঙ্গে দামও গত বারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। বর্তমানে উপজেলার আদমদীঘির সদরের তালসন, নসরতপুর, কুন্দগ্রাম, চাঁপাপুর, ছাতিয়ানগ্রাম ও সান্তহার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কলার চাষ হচ্ছে। কলা চাষ করে এই উপজেলার অনেক কৃষক আজ সাবলম্বী।

উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের শালগ্রামের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান সোএমবি জানান, তার বাড়ির পাশে প্রায় দেড় বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছেন। তার কলা বাগান থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার কলা বিক্রি করবে বলে সে আশা প্রকাশ করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, পূর্বের তুলনায় উপজেলায়এখন কলা চাষের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। বর্তমানে উপজেলায় সাধারণ ও বাণিজ্যিক ভাবে মোট ৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করা হচ্ছে। সরকারী ভাবে কৃষি অফিসের মাধ্যমে জনসাধারণকে কলা চাষের পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, একই জমিতে কলা চাষের ফাঁকে বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদও করা যায় এবং কৃষকরা যাতে বেশ লাভবান হয় সে ব্যাপারে কৃষি অফিসের পক্ষ সর্বাত্বক চেষ্টা করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত