চুমু দেওয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান হারমোসোও

এক চুমুতেই কি সব হারাচ্ছেন স্পেন ফুটবল প্রধান ?

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৪৯ |  আপডেট  : ৫ মে ২০২৪, ১৩:৫৪

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়। এই মুহূর্তে লাইমলাইটে থাকার কথা স্পেনের মেয়েদের। তবে আলোচনায় আছেন দেশটির ফুটবল ফেডারেশন প্রধান লুইস রুবিয়ালস। নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে পদকমঞ্চে বিশ্বজয়ী স্পেনের ফুটবলার হারমোসোর ঠোঁটে চুমু খেয়েছিলেন রুবিয়ালস। যা নিয়েই মূলত বিতর্ক হচ্ছে।

ক্ষোভ ঝেরেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীও। এছাড়া সরকারের মন্ত্রী, ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট লোকজন, ফুটবল ক্লাব ও খেলোয়াড়দের সংগঠনের পক্ষ থেকেও ৪৬ বছর বয়সী রুবিয়ালসর পদত্যাগের দাবি উঠেছে।

গত রোববার নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারানোর পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পদক নিতে আসা স্প্যানিশ মিডফিল্ডার হেনিফার হারমোসোর সঙ্গে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেন রুবিয়ালস। স্টেজে ওঠার পর তাকে জড়িয়ে ধরে ঠোটে চুমু খেয়ে বসেন স্পেন ফুটবল প্রধান। মুহূর্তেই দৃশ্যটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অন্য ফুটবলারের তুলনায় হারমোসোর সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলিঙ্গন করেন রুবিয়ালস। দুহাতে জড়িয়ে উঁচুতে তুলে ধরেন। একে অপরের সঙ্গে কথাও বলেন। একপর্যায়ে হারমোসোকে জাপটে ধরে ঠোটে চুমু খান রুবিয়ালস। 

চুমু দেওয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান হারমোসোও

স্পেনের মেয়েদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় নিয়ে যতটা না আলোচনা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি সমালোচনা চলছে চুমু কাণ্ড নিয়ে। চুমু কাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েও যে পার পারছেন না লুইস রুবিয়ালেস। 

রুবিয়ালেস যাঁকে চুমু দিয়েছেন এবার সেই জেনিফার হারমোসো স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা জানিয়েছেন। ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্পেনের মিডফিল্ডার। 

স্পেনের নারী ফুটবলারদের ইউনিয়ন ‘ফুটপ্রোকে’ নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে হারমোসো বলেছেন, ‘আমার স্বার্থ রক্ষায় এজেন্সি টিএমজের সঙ্গে কাজ করছে ইউনিয়ন ফুটপ্রো এবং তারাই এ বিষয়ে কাজ করছে। এমন আচরণ করে যেন কেউ পার না পায়, সেটি সুনিশ্চিত করতেই আমরা কাজ করছি। নারী ফুটবলারদের অগ্রহণযোগ্য আচরণ থেকে রক্ষা করতে যেন দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা হয়, এটিই আমাদের লক্ষ্য।’ 

রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) প্রেসিডেন্ট পদের মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এই কাণ্ড পছন্দ হয়নি কারও।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কটু বাক্যবাণ তো আছেই, এমনকি এ ব্যাপারে রুবিয়ালেসের ওপর ক্ষুব্ধ স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, উপপ্রধানমন্ত্রী ইউলান্দা দিয়াজ। সকলের চাওয়া রুবলিয়াসের পদত্যাগ। সোমবার ইয়োলান্দা দিয়াজের সঙ্গে এ নিয়ে বসবে ফুটপ্রো।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত