একনেকে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

  গ্রামনগর বার্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২২, ১৪:৩০ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর সঙ্গে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের প্রায় নয় হাজার ১৩০ কোটি টাকার এডিপিও অনুমোদন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন তথা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ নানা উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে দুই লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা অথবা কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে পাওয়া যাবে নয় হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার দাঁড়াচ্ছে দুই লাখ ৫৬ হাজার তিন কোটি টাকা। এই হিসাবে আগামী অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট চলতি সংশোধিত এডিপির চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।’

এম এ মান্নান বলেন, ‘এই উন্নয়ন বাজেটের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ১৭০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ৯৫ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা পাওয়া যাবে।’

‘অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও দেশের সম্পদ, বৈদেশিক অর্থায়ন ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার, কোভিড -১৯ মোকাবিলা, অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি , শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন , মানবসম্পদ উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দারিদ্র্য বিমোচন তথা দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

কোন খাতে কত বরাদ্দ? পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৭০ হাজার ৬৯৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের প্রায় ২৯ শতাংশ।

এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ হাজার ৪১২ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ১৬ শতাংশ। শিক্ষায় তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৯ হাজার ৮১ কোটি টাকা ৩৮ লাখ টাকা। মোট বরাদ্দের প্রায় ১২ শতাংশ।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তে ২৪ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা (মোট বরাদ্দের প্রায় ১০ শতাংশ), স্বাস্থ্যখাতে প্রায় ১৯ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের প্রায় ৮ শতাংশ। স্থানীয় সরকার খাতে বরাদ্দ রয়েছে ১৬ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

কৃষিখাতে ১০ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা (মোট বরাদ্দের ৪ দশমিক ১২ শতাংশ)। পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদে নয় হাজার ৮৫৯ কোটি টাকা(মোট বরাদ্দের ৪ শতাংশ)। শিল্প খাতে পাঁচ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২ দশমিক ২০ শতাংশ।

এছাড়া বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি খাদে বরাদ্দ চার হাজার ১৬৭ কোটি টাকা (মোট বরাদ্দের ১ দশমিক ৭০ শতাংশ)।

সভায় পরিকল্পনামন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভঅর সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত