ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আইজিপির নির্দেশ

করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও ঈদ কেন্দ্রীক সরকারি বিধি-নিষেধ শিথিল হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরমুখো মানুষের চলাচল ও ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় আসন্ন ঈদুল আজহা কেন্দ্রীক সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপারদের এমন নির্দেশনা দেন তিনি।

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়ক ও সড়কে হাইওয়ে, জেলা পুলিশ ও নৌপথে নৌপুলিশকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় আলোচিত বিষয় প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা জানান, কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন না থামানোর নির্দেশনা দিয়েছেন আইজিপি। সড়ক ও নৌপথে পশুবাহী ট্রাক বা লঞ্চে নির্দিষ্ট হাটের নাম উল্লেখ করে ব্যানার টানানো এবং এক হাটের পশুবাহী গাড়ি অন্য হাটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হাট কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন। বর্তমান অতিমারিতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোরও অনুরোধ জানান তিনি।

দেশের প্রধান প্রধান ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েনের কথা বলেছেন আইজিপি। ঈদের ছুটিতে চুরি, ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুলিশি টহল এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রম বাড়ানোর বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রয়োজনে চৌকিদারী ব্যবস্থাকেও কাজে লাগাতে উদ্যোগ নিতে বলেন তিনি।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের নান‌াবিধ উদ্যোগের ফলে জঙ্গি ও উগ্রপন্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ ধরনের যে কোনো তৎপরতা রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ পুলিশি কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্য মাধ্যমে কেউ যেন গুজব রটিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে অথবা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, এজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন আইজিপি।

সভায় পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি, সংশ্লিষ্ট ডিআইজি এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।