আশুলিয়ায় শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, যুবক গ্রেফতার
প্রকাশ: ৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:১৯ | আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৩
নিখোঁজের চার দিন পর সাভারের আশুলিয়ায় খেজুরবাগান এলাকা থেকে শিশু সিনথিয়ার [৬] লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল কাদের [২০] নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন [র্যাব]।
রবিবার (০৮ জানুয়ারি) রাতে তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। সোমবার [০৯ জানুয়ারি] তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক [আপরেশন] জামাল সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিনথিয়া নীলফামারীর জসিনুর রহমানের মেয়ে। আব্দুল কাদের সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সায়দাবাদ গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ায় জসিনুরের ভাড়া বাসার পাশেই বসবাস করতেন। এ ঘটনায় মামলা করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার পরিদর্শক [অআরেশন] জামাল সিকদার জানান, জসিনুর স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকায় নুরুল হক সরকারের বাড়িতে বসবাস করতেন। তার স্ত্রী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় এবং তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন। গত ৪ জানুয়ারি বিকালে বাড়ির আঙিনায় খেলা করছিল সিনথিয়া। চকলেট দেওয়ার কথা বলে ডেকে মুক্তিপণের জন্য তাকে নিজ কক্ষে আটকে রাখেন কাদের। এক পর্যায়ে শিশুটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ব্যাগে ভরে বাড়ির পাশের নালায় ফেলে দেয়।
ওই দিন রাতে সিনথিয়ার বাবার মোবাইল ফোনে কল করে মুক্তিপণ দাবি করে কয়েকজন। কয়েক ধাপে ১৫ হাজার টাকাও পাঠান তিনি। বিষয়টি র্যাবকে জানালে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে কাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকার একটি নালা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে র্যাব। হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। কাদেরের ঘর থেকে লাশ গুমে ব্যবহৃত ব্যাগ, শিশুর জামা ও জুতা উদ্ধার করা হয়েছে।
জামাল সিকদার আরও জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা জসিনুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আব্দুল কাদেরের সহযোগী রাজু ও অজ্ঞাতপরিচয় চার অভিযুক্তকে আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন কাদের। তিনি জানিয়েছেন, অপহরণের পর বুধবার রাতেই শিশুটিকে হত্যা করে। দুই দিন ঘরের খাটের নিচে লাশ লুকিয়ে রাখার পর শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাতে লাশ বাড়ির পাশের নালায় ফেলে দেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলায় ধর্ষণের ধারা যুক্ত করা হবে। পুলিশ পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত