দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল
আমাদের বার্তা পরিষ্কার, বাংলাদেশে পিআরের প্রয়োজনীয়তা নেই

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ | আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:০৮

পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ইসলামি দলগুলোর আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিআরের (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পক্ষে নয় বিএনপি। এটার কোনো ভিত্তি নেই। এটা আমাদের দল থেকে বারবার বলা হচ্ছে। আমাদের বার্তা পরিষ্কার। বাংলাদেশে পিআরের প্রয়োজনীয়তা নেই।
তিনি বলেন, দেশের সিদ্ধান্ত নিজেদেরই নিতে হবে এবং সেটা ঐক্যবদ্ধভাবে। যে কোনো বিষয় আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান হবে মনে করে বিএনপি। তিনি বলেন, আলোচনা চলছিল, সেই অবস্থায় বিভিন্ন দলের কর্মসূচির অর্থই হচ্ছে একটা অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা। যেটা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারেও শুভ নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিংগাপুরে স্ত্রীর চিকিত্সা শেষে দেশে ফিরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।১৪ দল ও জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে আমরা নই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব শিগিগরই দেশে ফিরবেন বলেও এ সময় জানান তিনি।
মির্জা ফখরুলের দাবি, বিএনপি সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি কোনো ইস্যুতে রাজপথে নামেনি। আলোচনার মধ্য দিয়েই সব সমস্যা সমাধান করতে চাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, এগুলো আলোচনার মাধ্যমেই শেষ হবে।
জাতিসংঘ সফর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতিসংঘ সফর নিয়ে ফরেন মিনিস্ট্রি ও ড. ইউনূসের সঙ্গে এখনো কথা হয়নি। সেখানে কী ভূমিকা হবে জানি না, কথা হয়নি এখনো। তবে দেশের সম্পর্কে, গণতন্ত্র উত্তরণ নিয়ে কথা হবে, উন্নয়নের বিষয় প্রাধান্য পাবে। তিনি বলেন, দেশের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিজেদেরই নিতে হবে, সেটা সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় হতে হবে। বাংলাদেশের সিদ্ধান্তগুলো আগেও দেশের মানুষ নিয়েছে, এবারও নেবে। বাইরের সিদ্ধান্তের কোনো প্রয়োজন নেই।
ফখরুল বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা চলছে, অনেক বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপি একমত হয়েছে, সে বিষয়গুলো সামনে আনলে হয়। একটা বিষয় পরিষ্কার, যেটাই করা হোক জনগণের সমর্থন বড় প্রয়োজন। জনগণের সমর্থনে নির্বাচনের মাধ্যমে যে পার্লামেন্ট আসে, সে পার্লামেন্ট রাইটস রাখে, সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবে, সংশোধনী করতে পারবে, সেখানেই এটা সম্ভব।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত