আদমদীঘির চাঞ্চল্যকর সিহাব হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২২, ১৯:১৫ | আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৩
বগুড়ার আদমদীঘি থানার চাঞ্চল্যকর সিহাব হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু সালে (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত রোববার রাত সাড়ে ৮ টায় আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের নিজবাড়ি গনিপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার সুত্রে জানা গেছে, এজাহারভুক্ত ১ নং আসামী আবু সালে এর ভাই এবং ৩ নং আসামি বিপুল এর সাথে ভিকটিম সিহাব, প্রহর সহ তাদের বন্ধুদের রক্তদহ বিলের পাড়ে বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে ভিকটিম সিহাব আসামি বিপুলকে চড়-থাপ্পর মারে। বিষয়টি আসামি বিপুল তার ভাই শিবলু সহ অন্যান্য আসামিদের জানায়। তখন আসামি আবু সালে বিষয়টি এলাকা ভিত্তিক ইজম তৈরী করে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করে। ঘটনার তারিখে (২০২০ সালের ২ আগস্ট) ভিকটিম সিহাব সহ তার আত্মীয়-স্বজন রক্তদহ বিলে বেড়াতে গেলে আসামি আবু সালের হুকুমে আসামি শিবলু ধারালো চাকু দিয়ে সিহাব, প্রহর ও জাকিরকে কুপিয়ে মারাত্নক জখম করে। গুরুতর জখম হয়ে ভিকটিম সিহাবকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। পরবর্তীতে সিহাবের পিতা বাদী হয়ে মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২০২০ সালের ৩ আগস্ট আদমদীঘি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার তৎকালীন তদন্তকারী অফিসার আদমদীঘি থানা অফিসার ইনচাজ জালাল উদ্দিন মামলার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ৭ জন আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করেন। দাখিলকৃত পুলিশ রিপোর্টের বিরুদ্ধে বাদী বিজ্ঞ আদালতে নারাজীর আবেদন করেন। বাদীর নারাজীর আবেদন আদালত গ্রহন করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য বগুড়া সিআইডিকে আদেশ প্রদান করেন।
তৎপ্রেক্ষিতে সিআইডি বগুড়া জেলা কর্তৃক মামলাটি অধিগ্রহণ করে তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক সাইদুল আলমকে নিযুক্ত করা হয়। সিআইডি বগুড়া জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাউছার সিকদারের দিক-নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী অফিসার সাইদুল আলম গত রোববার রাতে আসামির নিজ বাড়ি গনিপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
এ বিষয়ে সিআইডি বগুড়া জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাউছার সিকদার আদমদীঘির চা ল্যকর সিহাব হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু সালেকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত