ফুটপাত ও সড়কের উপর স্ট্যান্ড ও টার্মিনাল

আদমদীঘিতে দেড় শতাধিক অবৈধ বাণিজ্যিক টেম্পু দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়ক মহাসড়কে

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৩৪ |  আপডেট  : ৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৪৬

সান্তাহার জংশন ও পৌরসভা শহরসহ পুরো উপজেলার সড়ক ও মহাসড়কে পুলিশ প্রশাসনের সামনে দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় পৌনে দুই শত সিএনজি চালিত অবৈধ অটোটেম্পু। রেজিস্ট্রেশন বিহীন পৌনে দুই শত ছাড়াও বৈধ রয়েছে আরো তিন শতাধিক এই বাহন। আবার যানজট লাগানোর হোতা ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। এসব যানবাহনের মালিক ও চালকরা শহরের স্টেশন রোড়, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট মোড়, এক নং রেলগেটের সামনের ট্রাফিক মোড়ের বিশাল এলাকা, দুই নং রেলগেটের সামনে মেইন সড়কের ফুটপাত ও সড়কের অর্ধেক দখল করে বানিয়েছেন যাত্রী তোলা ও নামানোর স্ট্যান্ড এবং গ্যারেজ করার টার্মিনাল। একই অবস্থা উপজেলা সদরের থানা মোড় ও মুরইল বাজারের। হেঁটে চলা স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা এসব যানবাহনের চালকদের নিকট অসহায় ও জিম্মি হয়ে রয়েছেন বছরের পর বছর ধরে। কেউ এই অরাজকতার প্রতিবাদ করতে গেলে তারা চড়াও হয় সংঘবদ্ধ হয়ে। জানা গেছে, উপজেলার সান্তাহারে অবস্থিত বগুড়া জেলা অটোটেম্পু ও সিএনজি মালিক সমিতির আওতায় চলাচল করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক সিএনজি চালিত অটোটেম্পু। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিএনজির সংখ্যা প্রায় পৌনে দুই শত। ট্রাফিক ও থানা পুলিশের নাকের ডগার উপড় দিয়ে বাণিজ্যিক এসব বৈধ ও অবৈধ যানবাহন দাপিয়ে বেড়ালেও তারা রহস্যময় কারনে নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে চলেছেন। তবে তাদের নজর শুধু ব্যক্তিগত বাহন মোটরসাইকেলের উপর। শহরের বিভিন্ন মোড়ে এবং দুই বাইপাস সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে একেক দিন একেক পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটর সাইকেল আটকিয়ে দুই/তিনজনের নামের মামলা দিয়ে অবশিষ্টদের মামলার ভয় দেখিয়ে নেয় টু-পাইস হাতিয়ে নেয় বলে হরহামেশায় তথ্য মেলে। এদিকে, পুলিশের রাত্রীকালিন রণপাহারায় মালিক সমিতির খরচে প্রতি রাতে তিনটি অটোটেম্পু দেওয়া হয়, যেগুলোর অধিকাংশ রেজিস্ট্রেশন বিহীন। অপর দিকে রেজিস্ট্রেশন না করা এক মালিক-চালক মামুন হোসেন (ছদ্মনাম) বলেন, রেজিস্ট্রেশন করতে একে তো খরচ বেশী তার উপর সব ধরণের হালনাগাদ কাগজপত্র থাকলেও প্রশাসন এবং মালিক ও শ্রমিক সমিতির ঘাটে ঘাটে টাকা দিতে হয়। সেজন্য রেজিস্ট্রেশন করেননি বলে সরল স্বীকারোক্তি দেন। অবশিষ্টরাও একই কারনে রেজিস্ট্রেশন করেনি বলে দাবী করেন তিনি। এবিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বৈধ ও অবৈধ কোন অটোটেম্পুর সংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য জানা নেই জানিয়ে বলেন, বিষয়টি দেখভালের দ্বায়ীত্ব ট্রাফিক বিভাগের। ট্রাফিক সার্জন আব্দুল হান্নানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন, সিএনজি চালিত অটোটেম্পুর সঠিক সংখ্যা জানা নেই। থানার অফিসার ইনচার্জসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে যৌথ বাহিনীর সহযোগীতায় অবৈধ অটোটেম্পু বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মোটর সাইকেল মালিকদের নিকট থেকে টু-পাইস হাতিয়ে নেয়ার তথ্য সঠিক নয় বলে তিনি দাবী করেন। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত