আদমদীঘিতে দিন দিন মাদকের ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে

  মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম (উজ্জল)

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১২:১০ |  আপডেট  : ৩০ মে ২০২৫, ২২:১৯

মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিতে সারা দেশের ন্যায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলাতেও প্রায়ই চলছে মাদক বিরোধী অভিযান। নিষিদ্ধ জগতে অস্ত্রের পর মাদকই সবচেয়ে লাভবান ব্যবসা ও বেশি আলোচিত বিষয়। বিশেষ করে ফেনসিডিল ও ইয়াবা সহজলভ্য ও বহনযোগ্য বলে এর বিস্তার সর্বত্রই। দেশের এমন কোনো উপজেলা খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে মাদকের থাবা নেই। এছাড়া এখন গ্রামাঞ্চলেও মাদকের বিস্তার ঘটেছে ব্যাপক হারে।

তাছাড়া দেশজুড়ে এক বিশাল জাল বিস্তার করে আছে এই মরণ নেশার ভয়াবহ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন ধরেই আমরা জেনে আসছি যে দেশের মূল চালিকা শক্তি তরুণ সমাজকে মাদক কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। তবে দেশে এবার বেশ জোরেশোরেই শুরু হয়েছে মাদকের সর্বনাশা করাল গ্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। এই যুদ্ধের অনেক প্রয়োজন ছিল। কেননা এ মরণ নেশা পদার্থটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে নিঃশেষ করে অবধারিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে তরুণ সমাজ তথা যুব সমাজকে। বগুড়ার পশ্চিমাঞ্চল সান্তাহার জংশন এলাকা হওয়ায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় যে কোন ধরনের মাদক দ্রব্য। জয়পুরহাট, বগুড়া ও নওগাঁ সীমান্ত ঘেঁসা এই সান্তাহার জংশন শহর হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক ছিল এক সময় অনেক বিস্তৃৃত। এ অঞ্চলের অপ্রতিরোধ্য মাদক সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক এক সময় বিস্তৃত হয়ে পড়েছিল নিভৃত পল্লীতেও।
শত শত যুবক, তরুণ, বয়ঃবৃদ্ধ মাদকের অক্টোপাসে পরিবার ও সমাজ জীবনকে করে তুলেছে দুর্বিসহ। জাতীয় ও সমাজ জীবনকে বিধ্বংসী সর্বগ্রাসী মাদকের কবল থেকে মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমাজের সচেতন ব্যক্তিদের ভূমিকা বিশেষ প্রয়োজন। সমাজের এই মরণব্যাধি প্রতিরোধের ভূমিকা আজ অনেকাংশে প্রশ্নবিদ্ধ।

যুব সমাজ মাদকের ভয়াল নীল থাবায় জড়িয়ে পড়ে তাদের চরিত্রের অবক্ষয় সহ অধঃপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজেও জড়িয়ে পড়ছে। তবে মাঝে মাঝে বেশ জোরেশোরেই মাদক বিরোধী অভিযান চললেও কমছে না মাদকের ব্যবহার। তাছাড়া এই ঘন ঘন মাদক বিরোধী অভিযানের ফলে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়ী ধরণও পাল্টে দিয়েছে। মাদক বিক্রেতারা মাদক সেবনকারীদের কাছে এখন মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে মাদক পৌঁছে দিচ্ছে। অনেক মাদক বিক্রেতারা আবার ধর্মের লেবাজ পরে এবং নানান কৌশলে ছোট ছোট বাচ্চাদের হাত দ্বারাও মাদক দ্রব্য বিক্রি করে থাকে। বুঝবার কোন উপায় নেই। তবে এ উপজেলায় যেন নেশার স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার এস. এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষনার পর থেকে আমরা এলাকায় ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি এবং এলাকার চি‎হ্ণিত অনেক বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরোও বলেন, আদমদীঘি থানায় আমি যোগদানের পর থেকে নিয়মিত মাদক মামলা, মাদক মামলার আসামী গ্রেফতার সহ বিভিন্ন প্রকার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মাদক বিরোধী অভিযান এখনও অব্যাহত আছে।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত