আগাছা পরগাছা ও ভূঁইফোড় সমাচার
প্রকাশ: ৮ আগস্ট ২০২১, ০৯:১১ | আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৪৯
গত ১ আগস্ট বাংলাদেশের খবরের একটি সংবাদের শিরোনাম ছিল ‘ভূঁইফোড় সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার’। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের পর নামের আগে-পরে ‘আওয়ামী’, ‘লীগ’ ও ‘বঙ্গবন্ধু’ যুক্ত করে যেসব সংগঠন গড়ে উঠেছে, এর প্রায় সবই ভূঁইফোড় বলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনে করে। এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে সরকার আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথমে এসব ভূঁইফোড় সংগঠনের উদ্যোক্তাদের কর্মকান্ড ও সম্পদের খোঁজ নেওয়া হবে। সরকার বা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মধ্যে কারা এসব সংগঠনের পেছনে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, সেটাও খোঁজ নেওয়া হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগী হিসেবে গজিয়ে ওঠা ভূঁইফোড় সংগঠন নিয়ে গত সপ্তাহখানেক ধরে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে বিতর্কিত মহিলা হেলেনা জাহাঙ্গীরের ‘আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ গঠন এবং ওই সংগঠনের দেশে-বিদেশের শাখা কমিটিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মনোনয়নের দরখাস্ত আহ্বান করে সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদেরও নজরে আসে। তারা নড়েচড়ে বসেন। দলের একটি কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য হওয়ার পরও আরেকটি অননুমোদিত সংগঠনের সভাপতি হওয়ায় হেলেনাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। প্রকাশ হয়ে পড়ে দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ফিকিরে অর্থ হাতিয়ে নিতে হেলেনার কান্ডকীর্তির কথা। জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন, অনলাইন টিভি জয়যাত্রা টেলিভিশনের ব্যানারের আড়ালে তার রমরমা চাঁদাবাজির কথাও প্রকাশ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব তার গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর বিদেশি মদ, ক্যসিনো খেলার সামগ্রী, অবৈধভাবে রাখা বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করে। র্যাব হেলেনাকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাকে আদালতে উপস্থিত করে রিমান্ডের আবেদন করলে প্রথমে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর গত ৩ আগস্ট তাকে পুনরায় আদালতে হাজির করে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় ছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। এফবিসিসিআইয়ের মতো বানিজ্যিক সংগঠনেও তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা করে ঠাঁই করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটিতে। কীভাবে কার বা কাদের আশীর্বাদে হেলেনা রাজনীতির এই উঁচুস্তরে নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন তা অনেকের কাছেই রহস্যময়। এমন তো নয় যে, হেলেনার কাছে আরব্য উপন্যাসের আলাদীনের চেরাগ আছে, যার বদৌলত তিনি রাজনীতির প্রাসাদে জায়গা করে নিতে পেরেছিলেন!
হেলানার পরে আলোচনায় উঠে এসেছেন মনির খান ওরফে দর্জি মানর নমের আরেক কীর্তিমান (!) পুরুষের নাম। তিনি ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে প্রভাবশালীতে পরিণত হন। গত ২৯ জুলাই রাতে আইনশৃঙ্খালা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রভাবশালী মন্ত্রী-নেতার সঙ্গে তার ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তির জানান দিতেন। এগুলোর কোনোটিতে তাকে দেখা যায় কোনো মন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে, কোনোটিতে সে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে আছেন। গ্রেফতারের পরে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ওইসব ছবি পরীক্ষা করে দেখতে পায় যে, ওগুলো ফটোশপে নির্মিত কৃত্রিম ছবি। দর্জি মনির ফটোশপে এতটাই পারদর্শী যে, ওই ছবিগুলো খালিচোখে দেখলে নাকি বোঝার উপায় নেই ওগুলো কৃত্রিম উপায়ে নির্মিত। ভূইফোড় সংগঠনের মালিক হয়ে প্রভাব খাটিয়ে জমির দালালি ও তদবির বানিজ্য করে হয়েছেন অঢেল সম্পত্তির মালিক। এমন কি পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনে নিজেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রচার করতেন।
হঠাৎ শক্তিধর ও প্রভাবশালী হয়ে উঠা আরেকজনের কথা মনে পড়ছে। গত বছর তাকে নিয়ে সারাদেশে হইচই পড়ে গিয়েছিল। অতীতে কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও ২০০৯ সালের পর তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগার। অল্প সময়ে বনে গিয়েছিলেন অঢেল সম্পত্তির মালিক। চলাফেরা করতেন বিলাসবহুল গাড়িতে একাধিক সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে। নাম তার মো. সাাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। পরিচয় দিতেন ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা। ওই পরিচয়ে টিভি টকশোতে গলা ফাটাতেন আওয়ামী লীগের পক্ষে। কোনো কায়দায় তিনিও সদস্য হিসেবে ঠাঁই পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র বিষয়ক উপ-কমিটিতে। তার কথাবার্তা শুনলে মনে হতো, তিনি শেখ হাসিনার চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার। তার সাথে টকশোতে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা সবাই তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। রাজনীতি বিষয়ে ন্যুনতম জ্ঞান না থাকা এ লোকটি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে দাবড়াতে তৎপর থাকতেন। সে সাথে দলের নাম ভাঙিয়ে বেশ ভালোই চলছিল তার দুই নম্বরী ব্যবসা। কিন্তু বিধিবাম। একদিন তার সব জারিজুরি ফাঁস হয়ে গেল। করোনা পরীক্ষার ভূয়া রিপোর্ট ও ভূয়া বিল দিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করতে গিয়ে তার সাজানো বাগান এলোমেলো হয়ে গেল। দ্রুততম সময়ে ক্ষমতাশালী হয়ে উঠা সাহেদের সব ক্ষমতার প্রাসাদ ততোধিক দ্রুততায় ধসে পড়ল। এখন বেশ কয়েকটি বিচারাধীন মামলার আসামি হয়ে জেলাখানায় দিন গুজরান করছেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীর, সাহেদ, দর্জি মনিররা হঠাৎ করেই রাজনীতির কেউকেটা হয়ে উঠেছিলেন। অখ্যাত এসব ব্যক্তির এই বিস্ময়কর উত্থানের পেছনে শক্তিধর কারো না কারো মদত যে ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এখন সেসব পৃষ্ঠপোষক বোধগম্য কারণেই যে পিঠটান দেবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তারা এখন হয় ভেজা বেড়ালের মতো এক কোণে চুপটি করে বসে থাকবেন, নাহয় এদের সাথে সম্পর্কের কথা বেমালুম অস্বীকার করবেন। অথচ আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময়ে কারা এসব ভূঁইফোড়কে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন, কারা জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন ও টেলিভিশনের প্রধান উপদেষ্টা-পৃষ্ঠপোষক হয়েছেন। কাদের পাশে বসে বা দাঁড়িয়ে এরা দাঁত কেলিয়ে যুগল ছবিতে ক্যামেরবন্দী হয়েছেন। বলা নিষ্প্রয়োজন, তারা এখন কাট্টি মারবেন। এমন কি কস্মিনকালেও তারা হেলেনা, সাহেদ, দর্জি মনির নামের কাউকে চিনতেন না বলে জল থেকে উঠে আসা হাঁসের মতো গা ঝাড়া দিয়ে সব চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করবেন। এমনই হয়ে থাকে। সুসময়ে বা সময়-পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে যারা কাছে আসে, পরিস্থিতির স্রোত প্রতিকূলে বইতে শুরু করলে তারাও মুখ ঘুরিয়ে নেয়, উল্টোদিকে হাঁটা শুরু করে। প্রতারক রিজেন্ট সাহেদের বেলায় আমরা সে রকমই দেখেছি। ক্ষমতাসীন মহলের অনেকেই সাহেদের ভান্ডারের মধু চেখেছেন। কিন্তু তার অপকীর্তি ফাঁস হওয়ার পর তারা সবাই গামছায় মুখ ঢেকে সরে পড়েছেন। আমরা জানতেই পারলাম না কার বা কাদের বদান্যতায় সাহেদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছিলেন। এমন কি স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালের চুক্তি স¦াক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেই ফেললেন যে, সাহেদ নামের কাউকে তিনি চেনেন না, চুক্তির বিষয়েও কিছু জানেন না। বড়ই বিচিত্র আমাদের দেশ। তারচেয়ে বিচিত্র আমাদের রাজনীতি ও রাজনীতির মানুষেরা। প্রয়োজনে কাউকে বুকে টেনে নিতে, আবার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে এক লহমা দেরি হয়না। ঠিক যেন ফোকশিল্পী মমতাজের গান- ‘বন্ধু তুই লোকাল বাস, বন্ধু তুই লোকাল বাস / আদর কইরা ঘরে তুইলা ঘাড় ধইরা নামাস’।
রাজনীতিকে যদি একটি শস্যভূমি হিসেবে কল্পনা করা হয়, তাহলে এটা ধরেই নিতে হবে যে, এখানে ফসলের পাশাপাশি কিছু আগাছাও জন্মাতে পারে। আমাদের দেশে সাধারণত বৃষ্টির পরে ফসলি জমিতে আগাছা বেড়ে ওঠে। কৃষক তখন শস্যকে বাঁচানোর তাগিদে নিড়ানি দিয়ে ওইসব আগাছা উপড়ে ফেলে দেয়। তাছাড়া অনেক সময় বাগানে বৃক্ষের পাশাপাশি কিছু পরগাছাও জন্মে। এসব পরগাছার মধ্যে স্বর্ণলতা নামের পরজীবী উদ্ভিদটি অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এগুলোর কোনো শিকড় নেই, মাটিতে জন্মায় না। কোনো বৃক্ষকে অবলম্বন করে এগুলো জন্ম নেয়, তারপর সে বৃক্ষের রস শোষণ করে বেঁচে থাকে। এর ফলে যে বৃক্ষের ওপর এরা জন্মায় সে বৃক্ষটি মরণদশায় উপনীত হয়। গোড়াতেই পরিস্কার না করলে ওগুলো এমনভাবে বিস্তার লাভ করে যে, বৃক্ষ আর টিকে থাকে না। রাজনীতিতেও তেমনি পরগাছ আছে। আর ওইসব পরগাছা সম্বন্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উক্তি এখানে প্রণিধানযোগ্য বলে মনে করছি। তাঁর ‘কারগারের রোজনামচা’ বইতে সে উক্তির উল্লেখ আছে। তিনি তাঁর রোজনামচায় ২৩ জুন ১৯৬৬ তারিখে লিখেছেন, ‘দুপুরের দিকে সূর্য মেঘের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারতে শুরু করেছে। রৌদ্র একটু উঠবে বলে মনে হয়। বৃষ্টি আর ভাল লাগছে না। একটা উপকার হয়েছে আমার দুর্বার বাগানটার। ছোট মাঠটা সবুজ হয়ে উঠেছে। সবুজ ঘাসগুলি বাতাসের তালে তালে নাচতে থাকে। চমৎকার লাগে, যেই আসে আমার বাগানের দিকে একবার না তাকিয়ে যেতে পারে না। বাজে গাছগুলো আমি নিজেই তুলে ফেলি। আগাছাগুলিকে আমার বড় ভয়, এগুলি না তুললে আসল গাছগুলি ধ্বংস হয়ে যাবে। যেমন আমাদের দেশের পরগাছা রাজনীতিবিদ- যারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক তাদের ধ্বংস্ করে, এবং করতে চেষ্টা করে। তাই পরগাছাকে আমার বড় ভয়। (কারাগারের রোজনামচা, পৃষ্ঠা-১১৭)। বঙ্গবন্ধু সে মানুষ যিনি কখনো দুঃশাসকের রক্তচক্ষু, জেল-জুলুম-নির্যািতনকে ভয় পাননি। আমরা তাঁর রাজনৈতিক জীবন অধ্যয়ন করলে একজন দুঃসাহসী, নির্ভীক ও নিঃশঙ্কচিত্তের বীর পুরুষের দেখা পাই। জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য বানিয়ে তিনি পরিক্রমণ করেছেন রাজনীতির বন্ধুর পথ, পাড়ি দিয়েছেন চরাই-উতরাই। তিনি কাউকে ভয় পান এটা তার রোজনামচা পড়ার আগে আমার জানা ছিল না। লক্ষ্য করার বিষয় হলো, তিনি কোনো শাসক বা প্রতিপক্ষকে ভয় পেতেন না। ভয় পেতেন রাজনীতির ভূমিতে জন্ম নেওয়া আগাছাদের। যেগুলোকে উপড়ে ফেলার প্রয়োজন তিনি তীব্রভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন আগাছাদের যদি বাড়তে দেওয়া হয়, তাহলে ওরা মূল শস্যকেই ধ্বংস করে দিতে পারে।
আজ যেটা অনেকেই উপলব্ধি করছেন, বঙ্গবন্ধু তা উপলব্ধি করেছিলেন পঞ্চান্ন বছর আগে। আমাদের রাজনৈতিক ভূমিতে আজ ভূঁইফোর আর আর আগাছা-পরগাছার উপদ্রব মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে; যা আমাদের রাজনীতির পরিবেশকে দুষিত করে তুলেছে। এই দুষণ থেকে রাজনীতিকে বাঁচাতে হলে এগুলোকে সমূলে উৎপাটনের কোনো বিকল্প নেই। সচেতন ব্যক্তিদের অভিমত হলো, এজন্য শক্ত হাতে কোদাল ধরতে হবে রাজনীতির মাঠে ফসল উৎপাদনকারীদের। যাতে হেলেনা, পাপিয়া, সম্রাট, শাহেদ, দর্জি মনিররা আর জন্ম নিতে না পারে।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত