অফ সিজন তরমুজ চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে চাষি আব্দুল গাফফারের

  নাজমুল হুদা

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১৫:১৩ |  আপডেট  : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৪৯

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ৫০ শতক জমিতে অফ সিজন তরমুজ চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে তরমুজ চাষি আব্দুল গাফফারের। এখন তার চোখে দেখা দিয়েছে রঙিন স্বপ্ন। 

বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ভাটগ্রাম পশ্চিমপাড়ার আলহাজ্ব আয়েত আলীর ছেলে কৃষি প্রেমি আব্দুল গাফফার লেখাপড়া শেষ করে চাকুরির পিছনে না ছুটে ঝুঁকে পড়েন কৃষিতে। সে নিজেই পরিকল্পনা করেন কৃষি বিল্পব ঘটানোর জন্য। 

তাই বাড়িতে বসে না থেকে ২০২০ সালে মাত্র ৬ শতক জমিতে অফ সিজন তরমুজ চাষ শুরু করে। এতে সে লাভেরও মুখ দেখে। কৃষিকে আরো ভালোভাবে জানার জন্য ২০২২ সালে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসে এসে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কৃষি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। 

এরপর সে প্রথম পর্যায়ে ৪৫ শতক জমিতে টমেটো, ৩০ শতক জমিতে মরিচ ও ৩৩ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করে। সেসব হাট-বাজারে বিক্রয় করে লাভের মুখ দেখে দেখেন তিনি। 
এরপর তার ইচ্ছে জাগে অফ সিজন তরমুজ চাষে। তারপর পর চলতি বছরের মে মাসে তিনি ৫০ শতক জমিতে অফ সিজন তরমুজের বীজরোপণ করে। এই তরমুজ চাষে এ পর্যন্ত তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। বীজরোপণের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে এই তরমুজ সংগ্রহ শুরু হয়। 

সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাথায় গামছা বেঁধে তরমুজের জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছে আব্দুল গাফফার ও তার ছেলে। আব্দুল গাফফার তার ৫০ শতক জমিতে ৪ জাতের অফ সিজন তরমুজ চাষ করেছে। 

তরমুজ চাষি আব্দুল গাফফারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি লেখাপড়া শেষ করে চাকুরির পিছনে না ছুটে কৃষি কাজে মনোযোগ দেই। আর অফ সিজন তরমুজ চাষ করে লাভের মুখ দেখি। ৫০ শতক জমির গাছে গাছে তরমুজ ধরে পাকতে শুরু করেছে। 

আর কয়েকদিন পর তরমুজ সংগ্রহ শুরু হবে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে আর তরমুজের বাজারমূল্য ভালো থাকলে ২ লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রয় করতে পারবো বলে আশা করছি। 

এ বিষয়ে উপজেলা কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, অফ সিজন তরমুজ চাষ ব্যাপক লাভজনক। আর এই তরমুজ চাষে অন্যান্য ফসল চাষের চেয়ে খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক অফ সিজন তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়েছে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত