না ফেরার দেশে চলে গেলেন নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৩৬ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১০
না ফেরার দেশে ভারতের বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্র। রবিবার বিকাল ৩ টা ৪০ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার বেহালার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন শাওলি। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকার শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা।
শাঁওলি মিত্রের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী অনাড়ম্বরভাবেই কলকাতার সিরিটি শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শাঁওলির ইচ্ছাপত্র অনুযায়ী শেষকৃত্যের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেন তার মানসকন্যা অর্পিতা ঘোষ এবং পুত্রতুল্য সায়ক চক্রবর্তী।
২০২০ সালে নিজের ৭২ বছর বয়স পূর্ণ করার সময় একটি ইচ্ছাপত্র লিখে ছিলেন শাঁওলি। যেখানে তিনি লেখেন, তার পিতা প্রয়াত শম্ভু মিত্রকে অনুসরণ করেই যত দ্রুত সম্ভব তার মরদেহ যেন সৎকার করা হয়।
কিন্তু এতদিন পর্যন্ত তার সেই ইচ্ছাপত্রের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। গতকাল বিকালে তার মৃত্যুর খবরটিও অত্যন্ত গোপন রাখা হয় এবং অত্যন্ত অনাড়ম্বরভাবে এদিন রাতে সিরিটি শ্মশানঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। যদিও তারপরই ওই ইচ্ছাপত্র প্রকাশ্যে আসে এবং তার মৃত্যুও খবরটি জানা যায়। অর্থাৎ শাঁওলি মিত্রের ইচ্ছা অনুযায়ী শেষকৃত্যের পরই যেন তার মৃত্যুর খবর সকলকে জানানো হয়। আর সেই ইচ্ছাকেই মর্যাদা দিয়েছেন তার প্রিয়জনেরা।
তিনি অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ ছবিতে। এ ছাড়া অসংখ্য নাটকে নিজের অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি রাজনৈতিক হত্যা, হযবরল, গ্যালিলিও আর জীবন, পাগলা ঘোড়া, পাখি, পুতুল খেলা, নাথাবতী অনাথবৎ, বিতাতা বিতাংশা, ডাকঘর, চন্ডালী প্রমুখ।
অভিনয় জগতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে ‘সংগীত নাটক একাডেমী’ সম্মাননা দেওয়া হয় তাকে। ২০০৯ সালে পান ভারত সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার। ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার পান তিনি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত