৬ মাস পেরিয়ে গেলেও গূহবধু বৃষ্টি হত্যার আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে

  স্টাফ রির্পোটার

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৬ |  আপডেট  : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৬

দীর্ঘ ৬মাস পেরিয়ে গেলেও বগুড়ার শিবগঞ্জের গূহবধু বৃষ্টি আক্তার(৩০)হত্যা মামলার আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদিনী। তবে পুলিশ বলছে মামলাটি সাজানো। আসামিরা নির্দোষ। এ কারণে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

গত বছরের ২০ জুন জেলা বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে শ্বাসরোধ ও দেশীয় অস্ত্র দ্ধারা মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে মামলা দায়েন করেন রংপুর জেলার পীরগাছা থানার পূর্ব নগজিতপুর গ্রামের মিঠুর স্ত্রী জোলেখা বেগম। মামলায় মেয়ে জামাইকে প্রধান আসামি করে ৪ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত ৩/৪জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ গ্রামের মৃত সাজু মিয়ার পুত্র ইসমাইল(৩৬) এর সাথে তার মেয়ে বৃষ্টি আক্তার(৩০) এর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক এক লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করিয়া বিবাহ হয়। সংসারকালে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। মেয়ের সংসারের সুখের জন্য মা জোলেখা নগদ টাকা, সোনার গহনা, ও আসবারপত্র বাবদ ৪ লক্ষ টাকা জামাই ইসমাইলকে প্রদান করে। এরপরও ইসমাইল তার স্ত্রীর কাছে ব্যবসার জন্য আরো ২লক্ষ টাকা যৌতুক চায়। কিন্তু স্ত্রী টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্বামী ইসমাইল অন্য আসামীদের সহযোগিতায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯জুন সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টার থেকে দুপুর ১ টার মধ্যে যে কোন সময়ে আসামিরা বৃষ্টি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে ও দেশীয় অস্ত্র ধারা মারপিট হত্যা করে। এ ঘটনায় বৃষ্টি আক্তারের মা প্রথমে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে চাইলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী জোলেখা বেগম বাদী হয়ে মেয়ে জামাই ইসমাইল হোসেনকে প্রধান করে ৪ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত ৩/৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, দাড়িদহ গ্রামের আজিমুদ্দিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম, মফিজের পুত্র আব্দুল মান্নান, আব্বাসের পুত্র জাহিদুল ও রুহুল আমিনের পুত্র মুমিন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শিবগঞ্জ থানাকে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ দেয়। নির্দেশ অনুযায়ী থানার ওসি ১জুলাই মামলা রেকর্ড করে। মামলা রেকর্ডের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও কোন আসামিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। আসামিরা কেউ এখনো জামিনও পায়নি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) মোহাম্মাদ হাসমত উল্লাহ জানান, "ঘটনাটি হত্যা নয় আত্মহত্যা। এ কারণে সাজানো মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হয়নি। আর ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে কীটনাশক জাতীয় কোন দ্রব্য/ওষুধ সেবন করে গূহবধূ বৃষ্টি আক্তার মারা গেছেন বলে পরিস্কার হওয়া গেছে। অথযা নির্দোষ ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে হয়রানি করা পুলিশের কাজ নয়।"

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত