ভারতের ১২টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

প্রকাশ: ৮ মে ২০২৫, ১৫:০৬ | আপডেট : ৮ মে ২০২৫, ২৩:৩৬

পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়া ১২টি ভারতীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক বেসামরিক নাগরিক নিহত ও চারজন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সেনাবাহিনী জানায়, সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই ভারতের এসব ড্রোন নজরদারি চালানোর চেষ্টা করে। তবে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা প্রতিহত করে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এক রাতে অন্তত ১২টি ভারতীয় ড্রোন তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে এবং সেগুলোকে তারা একাধিক স্থানে গুলি করে নামাতে সক্ষম হয়েছে। এই ঘটনায় এক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং চারজন পাক সেনা আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, “গত রাতে ভারত ফের আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে। একাধিক জায়গায় ড্রোন পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা করেছে।”
তিনি আরও জানান, “এর মধ্যে একটি ড্রোন লাহোরের কাছে একটি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে”। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যথাযথ পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পৃথক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, ভারত গত রাতে “পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরেকটি স্পষ্ট সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে” পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছেন। তিনি বলেছেন, এসময় তারা (ভারত) একাধিক স্থানে হারোপ ড্রোন পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ব্যাপক সতর্ক রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ১২টি হারোপ ড্রোন ধ্বংস করেছে।
জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী আরও বলেছেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ভারত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। তিনি বলেন, “ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে, সীমান্ত এলাকায় তারা বড় ক্ষতির শিকার হয়েছে। এসবের পরও ভারত যেন সম্পূর্ণভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যেখানে স্বাভাবিক বুদ্ধিবৃত্তিক পথে আসা উচিত ছিল, সেখানে ভারত উল্টো উত্তেজনা আরও বাড়াচ্ছে, যা তাদের অহংকার-যুক্ত মনোভাবেরই প্রকাশ।”
আইএসপিআরের এই প্রধান বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে ভারত কতটা উসকানিমূলক আচরণ করছে। এমন এক সময়ে এই সামরিক আগ্রাসন চালানো হচ্ছে, যখন পুরো অঞ্চলটিই অত্যন্ত স্পর্শকাতর অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে শুধু এই অঞ্চলের নয়, পুরো বিশ্বের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।”
তিনি জানান, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে এবং যে কোনো হুমকির মোকাবিলায় সতর্ক। ভূপাতিত ড্রোনগুলোর ধ্বংসাবশেষ বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনায় দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া ড্রোন যুদ্ধের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ও হামলার ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত