১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড মুক্তিযুদ্ধের উপর নৃশংসতম হামলা: সেতুমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২১, ১৬:১৫ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৭

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই পরিচালিত হয়েছিলো ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ড উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা ও ২০০৪ সােেলর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। এ সকল ষড়যন্ত্র অভিন্ন ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। 

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) আওয়ামী লীগের মুখপাত্র উত্তরণ আয়োজিত ‘শোকাবহ আগস্ট-ইতিহাসের কালো অধ্যায়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেুতমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিলো। এসব ষড়যন্ত্র অভিন্ন ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।

আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা এখনো সক্রিয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মঞ্চের খুনিরা বিচারের মুখোমুখি হয়েছে, ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে কিন্তু এখনও কয়েকজন বিদেশে পলাতক, তাদের ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত আছে। মঞ্চের খুনিদের পেছনে যারা নেপথ্যের ষড়যন্ত্রের নায়ক, তাদের আজ খুঁজে বের করা দরকার। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাদের স্বরূপ উন্মোচন করতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। বাংলাদেশ থেকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করার জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র, মূল্যবোধ ও আদর্শকে একে একে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাই ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট  ঘটিয়েছিলো এবং এর বেনিফিশিয়ারি ছিল প্রকৃতির আদালতেই তাদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে।

উত্তরণের সম্পাদক নুহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, কালের কণ্ঠের সম্পাদক বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

এরপরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।

এ সময় তিনি বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল তারাই আজ মুছে যাচ্ছে ইতিহাসের পাতা থেকে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত