১৩৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ, দাম পেয়ে বেজায় খুশি কাউনিয়ায় চরাঞ্চলের কৃষক

  সারওয়ার আলম মুকুল,কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৯:১৫ |  আপডেট  : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৭

কাউনিয়ায় তিস্তার চরে এখন মরিচের সমারোহ। চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভাল পেয়ে  কৃষকের হাসি ফুটেছে।

কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা নদী বেষ্ঠিত ২২টি চরের বেশীর ভাগজমিতে মরিচ ক্ষেতের সবুজে সমারোহ। চারিদিকে জমি গুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের কাচা পাকা মরিচ। চলতি বছরে মরিচ চাষ করে ভালো দাম পেয়ে দারুণ খুশি কৃষকরা। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে কাউনিয়ার মরিচ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এবার আবহাওয়া অনুক‚ল থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানায় কৃষকরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে  জানা গেছে গত বছরের চেয়ে এ বছর ১৫ হেক্টর বেশি জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১২৫ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ১৩৫ হেক্টর জমিতে। অধিকাংশ মরিচ ক্ষেতই তিস্তা নদীর জেগে ওঠা চরে। সরেজমিনে উপজেলার চরা লের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে তালুকশাহবাজ চর, নাজির দহ চর, ঢুসমারা চর, প্রাণনাথ চর, চর আরাজী হরিশ্বর, চর হয়বতখাঁ, চর আজমখাঁ, চর বিশ্বনাথসহ তিস্তা নদীর জেগে উঠা ২২টি চরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিস্তার চরা লে পলি ও উর্বর দোআঁশ মাটিতে ফলন ভালো ও অধিক দাম পাওয়ায় চাষীরা বেজায় খুশী। 

ঢুসমারা চরের কৃষক তাজরুল ইসলাম, চর গনাই গ্রামের কৃষক দুদু মিয়া জানান বৃষ্টির পর থেকে বর্তমানে প্রতি কেজি মরিচের দাম ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা হওয়ায ভালো লাভ হচ্ছে। তিনি জানান ৩৬ শতক জমিতে মরিচ চাষ করে ইতোমধ্যে ৩০ হাজার টাকার মচির বিক্রয় করেছে আরও বিক্রয় হবে। একই কথা জানালেন গদাই গ্রামের আঃ গফুর। তালুকশাহবাজ চরের স্বাদীন জানান রমজান মাসে মরিচের একটু চাহিদা বেশী থাকে। তবে করোনার কারনে বাজার কিছুটা কমে গেছে। প্রানাথ চরের কৃষক কোরবান আলী জানান, তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় হাট-বাজারের চাহিদা মিটিয়ে জেলা শহর থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত রফতানি হচ্ছে। উপজেলার মধুপুর হাট, খানসামা হাট, তকিপল হাট ঘুরে দেখা গেছে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি দেদারছে কেনাবেচা হচ্ছে মরিচ। 

উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষকদের সার্বক্ষনিক বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ায় চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়াও তিস্তার জেগে ওঠা চরের জমিতে প্রচুর পলি পড়ায় এলাকার মাটির প্রকৃতি ও আবহাওয়া মরিচ চাষের জন্য উপযোগী। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত