হরতালের প্রভাব নেই রাজধানীর জনজীবনে, সড়কে তীব্র যানজট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:৪২ |  আপডেট  : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২৪

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ডাকা দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা  হরতালের প্রভাব নেই জনজীবনে। রাজধানীতে চলছে সকল ধরনের যানবাহন।
 
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।  গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে দুই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  

বুধবার ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার অবরোধ এবং বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, মিরপুর ১১, পল্লবী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মিরপুর থেকে রাজধানীর সব রুটের গণপরিবহন চলছে।  

এছাড়াও সড়কে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট গাড়ি, সিএনজি ও অটোরিকশা এবং রিকশা চলাচল করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং দোকানপাট খোলা রয়েছে।  

মিরপুর থেকে সদরঘাট পর্যন্ত চলাচল করা বিহঙ্গ পরিবহনের কামাল নামের এক সহকারী বলেন, হরতাল-অবরোধে বাস চালাতে কোনো সমস্যা না হলেও মনের ভেতরে সবসময় ভয় এবং আতঙ্ক থাকে আগুনের। তাই সবসময় সাবধানে থাকতে হয়। হরতাল অবরোধে যাত্রীও কম পাই। তারপরও পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়।  

মিরপুর থেকে গুলিস্তানে উদ্দেশ্য যাওয়া রায়হান নামের এক যাত্রী বলেন, হরতাল অবরোধে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হই আমরা। হরতাল-অবরোধ যাই হোক না কেনো আমাদের কাজ করতে হয়। একদিকে ভয়-আতঙ্ক আরেক দিকে চাকরির টেনশন। যারা রাজনীতি করে তাদের মানুষের কথাও ভাবা দরকার।  

১০ নম্বর গোল চত্বর এবং আশেপাশের এলাকায় রিকশা চালান পাবনা বেড়া থানার শহিদুল ইসলাম। হরতাল অবরোধের কারণে রিকশা চালাতে কোনো সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো কোনো সমস্যা হয় নাই। তবে সবসময় একটা ভয় আতঙ্ক থাকে কখন কি হয়। রিকশা না চালালে সংসার চলে না, তাই রিকশা নিয়ে বের হতেই হয়।  

গাবতলীর হানিফ পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ বলেন, আমাদের সীমিত সংখ্যক দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে। সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ২০টির মতো বাস ছেড়েছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে, তবে যাত্রী অনেক কম পাচ্ছি।

গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলার পর সরকারের পদত্যাগের একদফার দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ২৯শে অক্টোবর থেকে সারা দেশে দুদফায় ৩ দিন হরতাল ও ৮ দফায় ১৬ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। 

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত