স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি কালাম আজাদসহসহ ৬ জনের বিচার শুরু
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২২, ১৩:৩৭ | আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ২১:২৩
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে ঢাকার একটি বিশেষ আদালত। ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এবং মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ জুলাই দিন ঠিক করেছে।
অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী। আসামিদের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ দেন বিচারক।২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এই মামলা করেছিলেন।
মামলায় হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা না হলেও তদন্তে নাম আসায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় অভিযোগপত্রে।
২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে। একই সঙ্গে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ বদলির আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন করোনা রোগীর নমুনা বিনা মূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন।
অভিযোগপত্রের আসামিরা হলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগীপ্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত