স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভলগ্নে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২১, ০৯:১০ |  আপডেট  : ২৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৩

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আজ। ১৯৭১ সালের এইদিনে শুরু হয়েেিছল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী  যুদ্ধের পর ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর আমরা দেখা পাই স্বাধীনতার । বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতার সূর্য ধরা দেয় আমাদের হাতে। এজন্য আমাদের দিতে হয়েছে চরম মূল্য। ত্রিশ লাখ প্রাণ আর দুই লাখ  মা-বোনের সম্ব্রম ছিনিয়ে নিয়েছে হানাদার পাকিস্তানী বর্বর বাহিনী। লাখো মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগ মহিমান্বিত করেছে আমাদের মুক্তির যুদ্ধকে। সে কষ্টার্জিত স্বাধীনতার আজ পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হলো। এ যে কত আনন্দের তা ভাষায় প্রকাশ অসমম্ভব। 

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হচ্ছে মহাসমারোহে। বিদেশি কয়েকজন  সরকার  প্রধানও এসেছেন এ উপলক্ষে। তারা স্মরণ করেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীরদের। শ্রদ্ধা নিবেদন কতরে ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  প্রতি। বিশ্বের অনেক সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান পাঠিয়েছেন শুভেচ্ছাবার্তা। তারা কামনা করেছেন আমাদের অধিকতর সাফল্য ও অগ্রগতি।

তবে, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, রাজনৈতিক বিভাজন আমাদের সে অগ্রগতির সামনে প্রধান বাঁধা হয়ে আছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর  পরেও আমরা স্বাাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিকতর্কে মেতে আাছি। এখন একটি অংশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকার করে নিতে দ্বিধাগ্রস্ত। তারা এটা  বোঝে না যে, বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার না করার অর্থ স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। আমরা তাদের শুভবুদ্ধি উদয় কামনা করি। 
 
একটি সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন ছিল স্বাধীনতা যুৃদ্ধের লক্ষ্য। সে লক্ষ্য নানা কারণে আজো সর্বাংশে পূরণ হয়নি। রজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়নতা, বিভেদ, সহিংসতা, দুর্নীতি, আনিয়ম আমাদের এগিয়ে যাবার পথে বাঁধা হিসেবে কাজ করছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব জাতীয় স্বার্থে  সংকীর্ণতার  উর্ধ্বে উঠে দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত না করা পর্যন্ত আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে স্বাভাবিক ও সাবলীল গতিতে এগিয়ে যেতে পারব না। 

আামরা আশা করবো, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের  বোধদয়  হবে,তারা সংকীর্ণতা পরিহার করে জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য পোষণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন। 

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ শুভলগ্নে আমরা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাাই। কামনা করি সবার সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত