সিরাজদিখানে বেড়েছে চুরি-ছিনতাই, সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৩৪ | আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১
মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলায় উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা। সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন । গত ১ মাসে উপজেলার ইছাপুরাসহ পাশের এলাকায় প্রায় ১২টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, ছিনতাইকারীরা মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ভুক্তভোগী জৈনসার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ইছাপুরা হতে সিএনজি করে কাকালদী পাওয়ার হাউজ এলাকা দিয়ে তিনি ও তার বাসা মুক্তারপুর ফিরছিল। এ সময় সিএনজিতে বসে রাস্তায় অপেক্ষা করছিল সিএনজি চালকসহ তিন ছিনতাইকারী।
ইছাপুরা চৌরাস্তা থেকে মুক্তারপুর পঞ্চাসার ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি চলন্ত সিএনজিতে ওঠতেই। সাথে সাথে আরো দুই জন যাত্রী বেতকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওঠেন। কিছুদুর কাকালদী পাওয়ার হাউজ যাওয়ারর পর দুপাশ থেকে দুই যাত্রী তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। একজন তার ডান হাতের আঙ্গুল কামড়িয়ে ধরেন তার সাথে থাকা ৪৫ হাজার টাকা,একটি স্বর্নের আংটি ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, রাস্তায় যানবাহন ও মানুষ চলাফেরা করলেও কারো বোঝার উপায় ছিল না কী হচ্ছে। এরপর সিএনজি রিকশায় করেই চলে যায় ছিনতাইকারীরা। এছাড়া, উপজেলা ইছাপুরা বাস স্টেশন রোড এলাকায় মোবাইলের শো রুমগুলোতে ফোন কিনতে আসা গ্রাহকদের কাছে থেকে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। বিশেষ করে গ্রাম থেকে আসা গ্রাহকদেরকে টার্গেট করে ছিনতাইকারীরা।
ইছাপুরা আলআমীন টেলিকম সপের মোবাইল ব্যবসায়ী ইমরান শেখ জানান, গত ৫ সেপ্টম্বর আমার মোইল দোকানে চুরি হয়ে ৩লাখ টাকার নতুন দামী কিছু মোবাইল সেট চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। এলাকায় চুরি ছিনতাইকারীদের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মোবাইলের দোকানগুলোতে বিক্রি অনেকটা কমে গেছে। বিশেষ করে ছিনতাইকারীদের ভয়ে কমে গেছে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা গ্রাহকদের সংখ্যা।
এদিকে, উপজেলায় দিনে-দুপুরে ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে উপজেলাবাসী। ছিনতাইয়ের ঘটনা রোধে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। সিরাজদিখান সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার রাসেদুল ইসলাম জানান, সিরাজদিখান উপজেলায় পরপর কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার পর বিশেষ অভিযানে বেশ কয়েকজন বাইকচোরকারীকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরর আটকের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলেই মাদকাসক্ত হয়ে থাকে। তারা সেই নেশার টাকা জোগাড়ের জন্যই ছিনতাই করে থাকে। জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এখন ডাকাত,চোর আটক করা হয়েছে। আমরা অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থা নেই। ইতিমধ্যে এলাকার দাগি চোরদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ এখন যাত্রী সেজে সাদা পোষাকেও পুলিশ টহল দেয়। তারপরও মাঝে মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটে যায়। এ অবস্থায় কিছু কিছু এলাকায় টহল আরো জোরদার করা হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত