ঘরবাড়িতে আগুন, লুটপাট
সিরাজদিখানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ টেটাবিদ্ধ ৬ জন
লতা মন্ডল-সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৪৯ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৩
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে দায়িত্ব পালনরত এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৬ জন টেটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল শুক্রবার সকাল দশটার দিকে উপজেলা লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামের খলিলুর রহমানের সাথে পূর্ব রামকৃষ্ণদি গ্রামের মো.জহিরের সাথে হাউজিং ও মাটি কাটার ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে আজ শুক্রবার সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায় । সংঘর্ষ চলাকালে টেটা, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং একাধিক ঘরে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে সিরাজদিখান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে এ সময় সিরাজদিখান থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমানসহ অন্তত ৬ টেটাবিদ্ধ হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খলিলুর রহমান জানান,জহিরের মাটি কাটা বাঁধা দেওয়ায় আজ সকালে জহির লোকবল নিয়ে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং স্বর্ণালংকার লুটপাট করেছে। আমার কয়েকজন টেটাবিদ্ধ হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে মোঃ জহির বলেন,আমার সাথে তার ঝামেলা হয়েছিল অনেক আগে,আজকের ঝগড়াটা আমার সাথে হয়নি , আজকে ঝগড়া হয়েছে কংশপুরা গ্রামের খলিল আর দেওয়ানবাড়ির লোকের সাথে।
লতব্দী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান, মো. শামসুদ্দীন খোকন বলেন,মূলত ড্রেজার মেশিন দিয়ে জমি ভরাট নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই ঝগড়া বিবাদ হচ্ছে। আজকে বেশ কয়েকজন টেটাবিদ্ধও আছে।
সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এম এ হান্নান জানান, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে আনা হয়েছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত