সমুদ্রপথে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার অথবা বাংলাদেশ ত্যাগ বেড়েছে পাঁচ গুণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪৮ |  আপডেট  : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১০

আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে রোহিঙ্গাদের সমুদ্রপথে মিয়ানমার অথবা বাংলাদেশ ত্যাগ পাঁচ গুণ বেড়ে ৩ হাজার ৫০০ জনে গিয়ে ঠেকেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা গতকাল মঙ্গলবার এসব কথা জানিয়েছে। সমুদ্রপথে ২০১৪ সালের পর বিদায়ী বছরটি ছিল জাতিগত এই সংখ্যালঘুদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী।

গত বছর আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টাকালে ৩৪৮ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে কিংবা নিখোঁজ হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে বলেছে, গত ডিসেম্বরে একটি নৌযান ডুবে গেলে সংখ্যাটি এই উদ্বেগজনক জায়গায় গিয়ে ঠেকে। ওই নৌযানে থাকা ১৮০ রোহিঙ্গা মুসলিমের মৃত্যু হয়েছে মনে করা হচ্ছে।

সংস্থাটি বলছে, সুরক্ষা, নিরাপত্তা, পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়া এবং জীবিকার তাগিদে রোহিঙ্গারা অন্য দেশে যাওয়ার জন্য বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রা বেছে নিয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ছাড়ার মরিয়া মনোভাবের কারণে ২০২২ সালে সমুদ্রযাত্রার সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগই জাতিগত মুসলিম সংখ্যালঘু। তারা কয়েক শতক ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসছে। কিন্তু বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ১৯৮২ সালের পর থেকে তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী মনে করা হয়।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে অস্থায়ী শিবিরে গাদাগাদি করে বসবাস করছে মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। সবশেষ ২০১৭ সালে সেনাবাহিনী প্রাণঘাতী দমন অভিযান শুরু করলে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ নৌযান মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যায়। নৌযানে এসব রোহিঙ্গারা প্রাথমিকভাবে মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশে গিয়ে নামে।

জাতিসংঘের এই সংস্থার মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, ২০১৪ সালে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা ঝুঁকিপূর্ণ এই সমুদ্রযাত্রা বেছে নেয়। তাদের মধ্যে সাত হাজারের বেশি প্রাণ হারিয়েছে কিংবা নিখোঁজ হয়েছে বলে মনে করা হয়।

২০২১ সালের তুলনায় গত বছর নারী ও শিশুদের বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রা ৭ শতাংশ বেড়েছে। গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হওয়া প্রায় ৪৫ শতাংশও এতে অন্তর্ভুক্ত।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত