শ্রীনগরে দেড় কোটি টাকা মূল্যের খাসজমি ভড়াটের পর রাতের আধারে দোকান নিমার্ণের চেষ্টা 

  নজরুল ইসলাম, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:

প্রকাশ: ৩ মে ২০২৫, ২২:২২ |  আপডেট  : ৪ মে ২০২৫, ১২:৫১

শ্রীনগরে প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের খাসজমি জোড়পূর্বক মাটি ভড়াটের পর এখন রাতের আধারে দোকান ঘর নির্মাণের চেষ্টা চলছে। শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ সড়কের পাটাভোগ এলাকার হাজী নজরুল ইসলাম কিন্ডার গার্টেনের পাশে সরকারি জায়গায় দোকান নির্মাণ শুরু করে ভূমিদস্যু একটি চক্র। এর আগে চক্রটি সেখানে টিনের বেড়া দিয়ে ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু ভড়াট করে।

জানা গেছে,পাটাভোগ মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ১১৬ দাগের প্রায় ১৫ শতক জমিতে পাটাভোগ এলাকার মরহুম নুর ইসলাম শেখের পুত্র শেখ রিংকুর নেতৃত্বে ও তার শ্যালক ফেমাস হাসপাতালের মালিক আমিনুল ইসলামগং প্রায় এক মাস আগে জায়গাটিতে স্থাপিত সরকারি সাইন বোর্ড ফেলে রাস্তার পাশ ধরে টিন দিয়ে বেড়া দেয়। পরে শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের এক নেতার মাধ্যমে ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু ভড়াট শুরু করে। স্থানীয়রা এ সময় বিষয়টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে অবহিত করলে তারা সরকারি জায়গা ভড়াটে বাধা না দিয়ে উল্টো তথ্য প্রদানকারীদের নাম প্রকাশ করে দেয়। এতে রিংকুগং তথ্য প্রদানকারীদের হুমকি প্রদান করে এবং সেখানে ইট বালু ও পাথর এনে জড়ো করে।

স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে রিংকুগং সেখানে দোকান তোলা শুরু করে। কয়েক বছর আগে সরকারি জমির পেছনের জায়গাটি ক্রয় করে ফেমাস হাসপাতালের মালিক আমিনুল ইসলামগং। পরে সেখানে হাসপাতালের সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয়। সরকারি জায়গা দখলের কিছুদিন পূর্বে সেখানে আমিনুল ইসলামের বোন জামাই রিংকুর নামে সাইন বোর্ড সাটানো হয়। স্থানীয়দের বাদীমূলত প্রভাব খাটানোর জন্যই জায়গাটির পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা রিংকুর নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে আমিনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জায়গার অংশবিশেষ তার বোনের জামাই রিংকুকে লিখে দেওয়া হয়েছে। সে মালিকানা জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। তবে সরকারি জায়গার মাটি সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান।

রিংকু জানান, লেবারদের বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সময় তিনি জেলা পরিষদ থেকে লিজ এনেছেন বলে দাবী করেন। তবে ১নং খাস খতিয়ানের জায়গা জেলা পরিষদ থেকে কিভাবে লিজ এনেছেন এমন প্রশ্নে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

শ্রীনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতো দিনে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি নিরব ছিলেন। 

 

কা/আ
 
     

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত