শ্রমিকদের সহায়তায় এগিয়ে আসুন: শিল্পমালিকদের রাষ্ট্রপতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১ মে ২০২১, ০৮:৫৬ |  আপডেট  : ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৬

শ্রমিক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সরকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকজে ঘোষণা করেছে। তাই কোভিড ১৯ প্রাদুর্ভাবে মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি সরকারের পাশাপাশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিকগণকেও শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’

করোনামহামারির মধ্যে সরকারের পাশাপাশি শিল্প মালিকদের শ্রমজীবি মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ১ মে মহান মে দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ জনিত মহামারিতে বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয়াল থাবা আঘাত হেনেছে। ফলে গভীর সংকটে পড়েছে শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। এ পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের পাশে থেকে ত্রাণকাজ পরিচালনাসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

‘অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে সরকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকজে ঘোষণা করেছে। তাই কোভিড ১৯ প্রাদুর্ভাবে মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি সরকারের পাশাপাশি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মালিকগণকেও শ্রমজীবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে সমন্বতি উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। মে দিবসের আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক সুসর্ম্পক বজায় রেখে শ্রমিক ও মালিক উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হতে হবে। শ্রমিক-মালিক পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সর্ম্পক শ্রমক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা রক্ষা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

‘শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশের শিল্প ও বাণিজ্যে অগ্রগতি সাধিত হবে, দেশ এগিয়ে যাবে সম্বৃদ্ধির দিকে, মে দিবসে এ প্রত্যাশা করছি।’

শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতার অব্যবহতি পর ১৯৭২ সালে জাতিরি পিতার উদ্যোগ ও বলষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলওর ছয়টি কোর কনভনেশনসহ ২৯টি কনভনেশন অনুসর্মথন করে।

“এটি শ্রমজীবী মানুষরে জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় এক অনন্য মাইলফলক। ১৯৭৩ সালে জোট নিরপেক্ষ র্শীষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক আর অন্যদিকে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে’। তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সকলকে দলমত নির্বিশেষে একাত্ম হতে হবে। এই অভীষ্ট লক্ষ্য র্অজনে শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি দেশের উন্নয়নের পথকে ত্বরান্বিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।”

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত