শেখ হাসিনা শান্তিতে বিশ্বাসী, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই: ড. মোমেন
প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:৫৩ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি, মানবাধিকারকর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমি চত্বরে আজ শনিবার সকালে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন উপলক্ষ্যে আর্ট ক্যাম্প উদ্বোধন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিতে বিশ্বাসী। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতি এবং মানুষের ক্ষমতায়ন বিষয়ক প্রস্তাব তুলেছেন। সে প্রস্তাব পাসও হয়েছে।’সারা বিশ্বে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশ সরকার কাজ করবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাজধানীর তিনটি ভেন্যুতে শুরু হতে যাওয়া এ সম্মেলনে সরাসরি ও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে যোগ দেবেন অর্ধশতাধিক বিদেশি অতিথি। আজ শনিবার বিকেলে ‘অ্যাডভান্সিং পিস থ্রু সোশ্যাল ইনক্লুশন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামীকাল রোববার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, সোনারগাঁও হোটেল এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হবে শান্তি সম্মেলনের বিভিন্ন আয়োজন। এর মধ্যে উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠান হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। প্যানেল আলোচনা হবে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে।
ঢাকায় অনুষ্ঠাতব্য বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে রাজনীতিবিদ, শিল্পী ও সাহিত্যিকেরা অংশ নেবেন। সম্মেলনে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, নোবেল বিজয়ী শিশু অধিকারকর্মী কৈলাশ সত্যার্থী, ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা, যুক্তরাজ্যের সাবেক ফার্স্ট লেডি চেরি ব্লেয়ার অংশ নেবেন।
সম্মেলন উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা বরেণ্য ব্যক্তি ছাড়াও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, শিল্পী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে চারটি প্যানেলে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হবে।
উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খ্যাতিমান কয়েকজন অতিথি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হবেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকবেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান-কি মুন, মিসরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আরব লীগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা, পূর্ব-তিমুরের সাবেক প্রেসিডেন্ট নোবেলবিজয়ী হোসে রামোস হোর্তা এবং মালয়েশিয়ার সাবেকমন্ত্রী সৈয়দ হামিদ আলবার।
অপরদিকে, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন, সিঙ্গাপুরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক টং এবং ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা যুক্ত হবেন সমাপনী অনুষ্ঠানে।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজনের অনুমোদন দেন। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে সভাপতি এবং সায়মা ওয়াজেদকে সদস্য সচিব করে ৪৬ সদস্যের আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত