শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:১১ |  আপডেট  : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৯

নয়াদিল্লি সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল হোটেল ‘আইটিসি মৌরিয়া’র মিটিং রুমে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতের একটি ছবি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে জয়শঙ্কর লিখেছেন, বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি।‘আমাদের নেতৃত্ব পর্যায়ের উষ্ণ ও নিবিড় যোগাযোগই দুদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীসুলভ অংশীদারত্বের সম্পর্কের নজির’--লিখেছেন জয়শঙ্কর।

এদিকে, বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ, ভারতসহ নেপাল ও ভুটানের মধ্যে কানেক্টিভিটি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, পানি ইস্যুতেও আলোচনা হয়েছে। এ ইস্যুতে কীভাবে আরও অগ্রগতি করা যায় তা নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের রাখাইনে সাম্প্রতিককালে যে অস্থিরতা চলছে সেটা তুলে ধরেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একমত পোষণ করে বলেছেন, এ অঞ্চলে অস্থিরতা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়।

বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট ঘিরে সমগ্র বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সহযোগিতা কীভাবে আরও বাড়াতে পারি তা নিয়েও আলাপ করেছেন তারা।

এর আগে দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে নয়াদিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাকে লালগালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান ও বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা অভ্যর্থনা জানানোর মুহূর্তের কিছু ছবি টুইটারে পোস্ট করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী লেখেন, এই সফর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক আরও দৃঢ়তর করবে।

ঢাকার কূটনীতিকরা আশা করছেন, এ সফরে দুদেশের মধ্যে এমন কিছু পারস্পরিক সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বা নীতি নির্ধারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, এ সফরে সরকারপ্রধান পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পাশাপাশি যেসব শীর্ষ বৈঠক হবে, সেখানে উভয়পক্ষের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে। যার মধ্যে থাকবে অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন ও ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগের বিষয়ও। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াদির পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান অস্থিতিশীলতা ও ক্ষতিগ্রস্ত সর

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত