শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক আটক

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৫ |  আপডেট  : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:৪৭

কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থীকে (১৪) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য ও স্থানীরা।

রবিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চিলমারীর থানাহাট ইউনিয়নের মধ্য প্রামাণিকপাড়ার একটি মক্তবে ওই শিক্ষককে আটকে রেখে মারধর করে স্থানীয়রা।

অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসাশিক্ষকের নাম হাফেজ মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম। তিনি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের আদর্শবাজার (সরাইপাড়) এলাকার বাসিন্দা। তিনি বিবাহিত। ইউনিয়নের মাটিয়াল আদর্শ বাজার বিবি মরিয়ম রিয়াজুল জান্নাহ হাফেজিয়া আবাসিক মাদ্রাসায় সস্ত্রীক বসবাস করেন। কয়েকদিন আগে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে মাদ্রাসার আবাসিক এক ছাত্রীকে তিনি ধর্ষণচেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবার।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর এক নিকটাত্মীয় জানান, এক সপ্তাহ আগে ওই শিক্ষক রাতের বেলা ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিজ রুমে ডেকে নেন। মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ছাত্রী তাকে বাধা দিলে তিনি ছাত্রীর বুকে ও মাথায় আঘাত করেন। এতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পরে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। এরপর ছাত্রীর পরিবারের লোকজন রবিবার ওই শিক্ষককে আটক করে চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মধ্য প্রামাণিকপাড়ার একটি মক্তবে আটকে রাখেন এবং মারধর করেন। এ সময় ওই শিক্ষক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার কথা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্বীকারোক্তিতে ওই শিক্ষক জানান, তিনি স্ত্রীসহ ওই মাদ্রাসায় থাকেন। এক সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে যান। ওইদিন রাতে তিনি আবাসিকে থাকা ওই ছাত্রীকে নিজ ঘরে ডেকে নেন। এরপর তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণচেষ্টা করেন। ছাত্রী বাধা দিলে তাকে মারধর করেন। তবে তার দাবি, তিনি জোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ধর্ষণ করেননি।

রবিবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে স্থানীয়রা আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ফয়সালা করার চেষ্টা চলছিল বলেও খবর পাওয়া গেছে।

চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আমি পুলিশ সদস্য পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

কা/আ 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত