শাজাহান খানের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাইয়ের যত অভিযোগ

  এসআর শফিক স্বপন,মাদারীপুর

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৩ |  আপডেট  : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৯

মাদারীপুরে আগামী ৮ মে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে উত্যপ্ত মাঠ। মাদারীপুর-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ১৫টি অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান শফিক খান। অভিযোগ এরইমধ্যে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত দিয়েও কোন সুরাহা না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এই প্রার্থী। সোমবার দুপুরে মাদারীপুর শহরের ডিসিব্রীজ এলাকার নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান অভিযোগ করেন, আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতিকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের ছেলে, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আসিবুর রহমান আসিব খান। তার একমাত্র প্রতিন্দন্দ্বী শাজাহান খানের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে পাভেলুর রহমান শফিক খান। তিনি লড়ছেন মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে। এই নির্বাচনকে ঘিরে ছেলের পক্ষে কাজ শুরু করেন শাজাহান খান। এরমধ্যে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, প্রশাসনের উপর চাপ প্রয়োগ, কালো টাকা ছড়ানোর কারনে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমনকি নির্বাচন কমিশনের আইনে স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু সেই আইনকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন সংসদ সদস্য। এমন ১৫টি অভিযোগ তুলে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত দিয়েও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় আগামী ৮ মে হতে যাওয়া নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে এখনই সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি মোতায়েনের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের দাবি জানান শফিক খান। এছাড়া শাজাহান খানকে এলাকা ত্যাগের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান বলেন, আমি মাদারীপুরে থাকলেও আমার ছেলে আসিবুর রহমান আসিব খানের নির্বাচনী কোন প্রচার-প্রচারনায় অংশ নিচ্ছি না। আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি মাদারীপুরের নিজবাসায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের আলোচনা করি, তবে এটা নির্বাচনী কোন বিষয় না। এরপর তিনি সরকারি গাড়িতে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলার পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমম্মেদ আলী মুঠোফোনে বলেন, মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খানের অভিযোগগুলো আমলে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শফিক খানের অভিযোগ সবগুলোই গ্রহণ করা হয়েছে। সেই অভিযোগ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ শুরু করেছে।

সংবাদ সম্মেলন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাদারীপুর জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ প্রমূখ। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত