লৌহজংয়ে ৫০০ ফুট রাস্তার জন্য ঘুড়ে যেতে হয় তিন কিলোমিটার পথ

  লৌহজং(মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২১, ১৭:৫২ |  আপডেট  : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৬

লৌহজং উপজেলার বড় বেজগাঁও গ্রামের কয়েকশ মানুষ স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ ও বাজারে যেতে মাএ ৫শ’ ফুট রাস্তার জন্য ঘুড়তে হয় তিন কিলোমিটার পথ। উপজেলার বড় বেজগাঁও জান্নাতুল বাকি জামে মসজিদ থেকে ছাত্তার মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত ১০০০ ফুটের সড়কটির অর্ধেক অংশ ইট বিছানো হলেও সড়কের বাকি অংশ পানির নিচে মাএ ৫শ’ ফুট সড়কের জন্য পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দীর্ঘ একযুগ ধরে। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতি দিন শত শত লোক একটি প্রাইমারী স্কুল, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি মাদরাসা, একটি জামে মসজিদ ও স্থানীয় ভ‚লার বাজার ও মালিঅংক বাজারে যাতায়ত করে। রাস্তাটির অর্ধেক অংশ নিচু হওয়ায় বছরের অর্ধেকের বেশি সময় পানিতে ডুবে থাকতে দেখা যায়। এটি গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের একটি রাস্তা বলে জানান এলাকা বাসি। 

এলাকার মোদি দোকানদার স্থানীয় বাসিন্দা মো. নুরুল কবীর জানান, রাস্তাটি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও চেয়ারম্যান কারোও কোন মাথা ব্যাথা নেই। প্রতিদিন শত শত মানুষ এতটা পথ ঘুড়ে হাট-বাজার আর স্কুল মাদরাসায় যাওয়া আসা করছে এই বিষয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ করছে না। যে যার মত করে মাএ ৫শ’ ফুট রাস্তার জন্য প্রতিনিয়ত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছে। 

এলাকার আরেক বাসিন্দা নীরব ম্যা· জানান, এই রাস্তাটি দিয়ে মাএ দুই মাস ভালো ভাবে আসাযাওয়া করা যায় আর বাকি সময় কখনো বৃষ্ঠির পানি ও বর্ষার পানি জমে যাতায়তের অনউপযোগি হয়ে পরে। এলাকাবাসি অভিযোগ রাস্তার পাশে মালেক মাঝির বাড়ি সে রাস্তার বেশ কিছু অংশ দখল করে রেখেছে যার জন্য রাস্তাটি মেরামত করা যাচ্ছেনা। 

তারা জানায়, এই রাস্তাটির জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন তালুকদার ও স্থানীয় কিছু দাতা ব্যাক্তিরা বরাদ্দ দেয়া স্বত্বেও স্থানীয়  দন্দের কারনে রাস্তাটি মেরামত করা যাচ্ছেনা। সমস্ত রাস্তাটি একহাজার ফুট হলেও এরমধ্যে মাএ ৩০০ ফুট যায়গায় ইট বিছানো হয়েছে বাকি যায়গা সরু হওয়ায় এবং নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে থাকায় চলাচল করা যায়না বর্ষা মৌসুমে। রাস্তাটি ১০০০ হাজার ফুট দৈঘ্য ও প্রস্ত ১০ ফুট কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাস্তাটির কোথাও ১০ ফুট কোথাও ৫ ফুট আবার কোথাও ৩ ফুট রয়েছে। 

এই বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন তালুকদার জানান, এই রাস্তাটির জন্য বেশ কয়েকবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে কিন্তু স্থানীয় দন্দের কারনে বরাদ্দ ফেরত দিতে হয়েছে। এবারও ইট বিছানোর কাজ করা হয়েছে ৩০০ ফুট রাস্তায়। বাকি রাস্তাটুকু মেরামত করা যায়নি বলে পুরো রাস্তাটি ইট বসানো সম্বভ হয়নি। আগামী বরাদ্দ এলে আমি নিজে উপস্থিত থেকে কাজটি সম্পুর্ন করবো। 
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত