লৌহজংয়ে দূর্গাৎসব উপলক্ষ্যে বিএনপির সম্প্রীতি সমাবেশ

  মো. মানিক মিয়া, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ)-

প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩১ |  আপডেট  : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেছেন, দেশে সংখ্যালঘু বলতে কেউ থাকবে না সবার পরিচয় হবে বাংলাদেশী। শেখ হাসিনা, শেখ মুজিব জাতিকে বিভক্ত করেছে। হিন্দু এবং মুসলমানকে দ্বিধা বিভক্ত করেছে। অনেক মন্দির ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। অনেক মন্দিরে আগুন দেয়া হয়েছে। এর সব কিছুর পেছনে ছিল একটি ষড়যন্ত্র। তাঁরা বুঝাতো আওয়ামী লীগ সরকার না থাকলে দেশে হিন্দুরা থাকতে পারবে না। আজ (০৫ অক্টোবর) শনিবার বিকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 'মন্দির ভাংচুর, পুঁড়ানোর পেছনে আ'লীগের ষড়যন্ত্র'- আব্দুস সালাম আজাদ 

তিনি আরও বলেন, আমাদের ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে  আমরা আবার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পেয়েছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি। আমরা হিন্দু মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে সাহায্য সহযোগিতা করে যাবো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিশ্বাস করে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। যেখানে মুসলিমদের যে অধিকার থাকবে, হিন্দুদের সেই একই অধিকার থাকবে, বৌদ্ধ খ্রিস্টান বনে জঙ্গলে থাকা মানুষদের একই অধিকার থাকবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী বলেন, এদেশে ভিন্ন মতকে দমন করা হয়েছে। যদি একটি ঘটনার সুস্থ তদন্ত হতো এবং সে ঘটনার সুস্থ বিচার হতো। তাহলে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না। তাহলে আপনারাই বলুন বিচারহীনতার সংস্কৃতি কে তৈরি করেছেন? করেছেন স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সব সময় হিন্দুদেরকে ব্যবহার করেছেন। আমি হিন্দু সম্প্রদায়িক হয়েও বিএনপি করি। কারণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি আদর্শে বিশ্বাস করে। যে আদর্শ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার নিশানা দিয়েছেন।

'শেখ হাসিনা বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করেছে'- নিপুন রায় চৌধুরী

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাবীবুর রহমান অপু চাকলাদারের সভাপতিত্বে এবং সদস্য আল ইউসুফ আজাদ চঞ্চল মোল্লা ও এম শুভ আহমেদের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কহিনুর শিকদার, শাহ কামাল ঢালী, গোলাম গাউজ সিদ্দিকি, আরিফুজ্জামান লাভলু, শাহ আলম শিকদার, বাদল হোসেন হাওলাদার, মোহাম্মদ আবু তাহের মৃধা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন খান, সদস্য সচিব পাভেল মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক রাসেল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ অভি, সদস্য সচিব 
জহিরুল ইসলাম দোলন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অলক কুমার মিত্র, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সঞ্চিত মন্ডল তুষার, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অমিত কুমার সিংহ, সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট বিপ্লব সাহা প্রমুখ।

কা/আ 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত