লৌহজংয়ের শিমুলিয়ার যুবলীগ কর্মীর চিকিৎসা সহায়তা প্রার্থনা
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২১, ১৯:০৫ | আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৯
হলদিয়া ইউনিয়ন পূব শিমুলিয়া, আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন চক্রবর্তী রতন নিরলস ভাবে যুবলীগের রাজনীতির সাথে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন। দুর্দিনে যারা আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে রতন একজন।
দীর্ঘদিন যাবত সে ফুসফুস ও কিডনিজনিত রোগে ভূগছেন। রতন বিভিন্ন উংসব আদি বিশেষ করে হিন্দু ধর্মিয় উংসবে রান্না বান্না ও সামাজিক অনুষ্ঠানে বার্বুচি হিসাবে কাজ করে সংসার বেশ ভালো ভাবেই চালিয়ে গেছেন। দীর্ঘ একবছর করোনা আবহাওয়ায় সকল সামাজিক ও ধর্মিয় উংসব বন্ধ থাকায় এর মধ্যে তার কিডনি ও ফুসফুস জনিত রোগ ধরা পড়ায় তার এখন শ্যম রাখি না কুল রাখি অবস্থা।
নিবেদিত যুবলীগ কর্মী রতন লোকলজ্জায় কারো কাছে হাত পাততে পারেন না। তিনি এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে না পারছে সংসার চালাতে না পারছে চিকিৎসা করাতে।
পিতা ৭১ সনে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে যুদ্ধ করেন। পিতা মহেন্দ্র চক্রবর্তীর মূল বাড়ী ছিলো ময়মনসিংহ। হালুয়াঘাটের যুদ্ধে ৭১,সনে তিনি অংশ গ্রহন করেন, পরবর্তী সময়ে পুলিশে চাকরি সুবাদে লৌহজং এসে এখানেই আবাস গড়ে তোলেন। লৌহজংয়ের কদম পাগলার মাজার সংলগ্ন বাড়ী করলেও ৮৭ সনে কদম পাগলার মাজার সহ পদ্মার ভাংগন মহেন্দ্র চক্রবর্তীকে সর্বসান্ত করে দেয়।
তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের পুজা অর্চনা করে শিমুলিয়ার গোপাল আখড়ায় আশ্রয় গ্রহন করেন। পিতার মৃত্যুর পরে পুজা অর্চনা করে তার বড় ভাই মানিক চক্রবর্তী। ছোট ভাই স্বপনের ছোট একটি দোকান আছে বাড়ী সংলগ্ন শিমুলিয়ার ভাংগা নামক জায়গায়। রতন একজন বঙ্গবন্ধু সৈনিক ও নিবেদিত প্রান কর্মী হয়েও করোনা কালে সরকারি - বেসরকারি কোন সাহায্য পায়নি বরং তার এখন কোন কাজ না থাকায় তার সঠিক চিকিৎসা ও ব্যহত হচ্ছে।
এ বিষয়ে এ প্রতিবেদক রতনের সাথে কথা বলে জানতে পায় একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে মানুষের কাছে সংসার খরচ নেবার মত মানসিকতা তার ছিলো না এখনো নাই, তবে চিকিৎসা খরচ নির্বাহ করার জন্য তার সাহায্য নেয়া ছাড়া কোন বিকল্প নাই।
তিনি এলাকার ধনাঢ্য মানুষ ও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের তার পাশে একটু সাহায্যের হাত প্রসারিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে তার সহপাঠীরা রতনের সাহায্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি শুরু করেছেন। রতন স্হানীয় হলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করার পর সংসারের হাল ধরাতে আর এগুতে পারেনি। ঘরে বৃদ্ধা মা স্ত্রী ও কন্যা সহ তার এখন মানবেতর জীবনযাপন চলছে। রতন জানান ভালভাবে চিকিৎসা করলে চিকিৎসক জানিয়েছেন সে আরোগ্য লাভ করবে।
তিনি ধনাঢ্য মানুষ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তার চিকিৎসার বিষয়ে সহায়তা কামনা করেছেন। রতনের সাথে যোগাযোগ করার ফোন নম্বর ০১৯৩০১৮৫২০০
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত