লকডাউন দেখতে রাস্তায় অনেক কৌতূহলী মানুষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১৫:২৪ |  আপডেট  : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২২

করোনাভাইরাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। প্রতিদিনই মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন আরোপ করেছে সরকার। বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেক কৌতূহলী মানুষ বের হচ্ছেন। মূলত লকডাউন ঠিকমতো পালিত হচ্ছে কি না— সেটা দেখতে খুবই আগ্রহ নিয়ে তারা বাইরে ঢু মারছেন।

সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারিসহ সবধরনের অফিস, গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ থাকবে। মাঠপর্যায়ে বিষয়টি নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ প্রশাসন। কেউ যেন অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাফেরা করতে না পারে সেজন্য রাজধানীজুড়ে বসানো হয়েছে পুলিশের চেক পোস্ট। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের থানা ও ট্রাফিক বিভাগের সম্মিলিত টহলও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের মুভমেন্ট পাস ও জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কাউকে বাইরে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সরেজমিনে রাজধানীর আসাদগেট, শুক্রাবাদ, ধানমন্ডি, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নীলক্ষেতসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি পয়েন্টে বসানো হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ তল্লাশি চৌকি। বাইরে বের হওয়া মানুষ, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের চালকদের দেখাতে হচ্ছে মুভমেন্ট পাস।

যারা অপ্রয়োজনে গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে মামলার। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের  ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর মাহফুজ আলম বলেন, অনেকেই অপ্রয়োজনে মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন। ‘কোথায় যাবেন’ অথবা ‘কী কারণে বের হয়েছেন’— এসব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে যারা পারছেন না আমরা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি। এছাড়া প্রতিটি প্রাইভেটকার ও অন্যান্য গাড়িকে তল্লাশি চৌকি পার হয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে।

রাজধানীর বাজার ও জনবহুল স্থানগুলোতে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের টহলও অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনের কড়াকড়িতে মহাসড়কের পাশের দোকান বন্ধ থাকলেও এলাকাভিত্তিক গলির ভেতরের দোকানিদের নজর টহল পুলিশের দিকে। পুলিশ দেখলেই তারা দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করছেন। পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই ফের দোকান খুলছেন। এছাড়া কাঁচাবাজার ও মাছ-মাংসের বাজারে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

শুক্রাবাদ বাজারে কথা হয় রাসেল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লকডাউনে বাজারে কী অবস্থা সেটা দেখতে এসেছি। কিছুক্ষণ পর এসে বাজার করে নিয়ে যাব।’

এছাড়া শুক্রাবাদ বাজারের প্রবেশমুখে পুলিশের টহল টিমের প্রশ্নোত্তরের সদুত্তর দিতে পারছিলেন না বাইরে বের হওয়া অধিকাংশ মানুষ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানে আলম মুন্সি বলেন, সকাল থেকেই সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অনেকেই অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠাচ্ছি। এছাড়া কেউ যেন অপ্রয়োজনে দোকান, মার্কেট খোলা না রাখে সেদিকেও খেয়াল রাখছি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত