প্রশাসনের সাথে বনিবনা হচ্ছে না !
রামপালে মাসিক সমন্বয় সভায় অনুপস্থিত ৭ ইউপি চেয়ারম্যান
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২২, ১০:৩৫ | আপডেট : ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:০৯
স্থানীয় শ্রশাসনের সাথে বনিবনা না হওয়ায় রামপাল উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় অনুপস্থিত ৭ ইউপি চেয়ারম্যান অনুপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার এই সভা হয়েছে। তবে তাদের অনুপস্থিতির কারণ জানার চেষ্টা করলে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টায় রামপাল উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় ও আইনশৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল্লাহ ফকির, হুড়কা ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে একজন নারী সদস্য ও রাজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়া আর কোন চেয়ারম্যান উপস্থিতি ছিলেন না। সভায় অনুপস্থিতদের মধ্য ছিলেন পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাওলাদার রফিকুল ইসলাম বাবুল, ভোজপাতিয়ার তরফদার মাফুজুল হক টুকু, সদরের মোঃ নাসির উদ্দিন, উজলকুড়ের মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, মল্লিকেরবেড়ের তালুকদার ছাবির আহম্মেদ, বাঁশতলীর মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, গৌরম্ভার মোঃ রাজিব সরদার।
সভায় উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাওলাদার রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, তিনি গ্রাম আদালতের মাধ্যমে একটি বিষয়ের রায় দিলেও থানা ভারশ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা উপেক্ষা করেছেন। তাছাড়া আমার ইউনিয়নে এমপি ও মন্ত্রী আসলে আমাকে জানানো হয় না।
বাঁশতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, গিলাতলা বাজারে সুদের ব্যবসা সংক্রান্ত একটি ঘটনা ৫০ হাজার টাকায় নিরসনের চেষ্টা করি। কিন্তু তা নিয়েও পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ করা হয়।
উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সী বোরহান উদ্দিন জেড এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদে আমরা মূল্যায়ন পাই না, বিশেষ করে রামপাল থানা নিয়েও আমরা বিব্রত হচ্ছি।
এ ব্যাপারে রামপাল থানা ভারশ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুউদ্দীন বলেন, ২০১৩ সালের একটি ব্যাংক চেক ডিজঅনার হলে তা নিয়ে আদালতে মামলা হয়। ওই মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মিমাংসার শ্রস্তাব দেন। ওই শ্রস্তাব শ্রত্যাখান করায় তার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে আমি দোকান খুলে দিয়েছি। এছাড়া পেড়িখালী ইউনিয়নে সরকারী রাস্তার জায়গা নিয়ে চেয়ারম্যানের রায় অমান্য করে এক ব্যক্তি আদালতে মামলা করেছেন। এসব বিষয়ে নিয়ে তিনি অসন্তোষ হতে পারেন। আদালতে মামলা থাকলে আমার কিছু করার নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন বলেন, আমি ইউপি চেয়ারম্যানদের সকল মিটিংয়ের চিঠি দিয়ে ও ফোন করে জানাই। কোন সমস্যা থাকলে তারা আমাকে বললে আমি তার সমাধান করার চেষ্টা করবো। বৃহস্পতিবারের সভায় বাইনতলা ইউপি চেয়ারম্যান, রাজনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও হুড়কা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জন জনশ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সমস্ত সভা সমাবেশে তাদেরকে যথাযথ মুল্যায়ন করা হয়। কোন সমস্যা থাকলে আমাকে জানালে আমি অবশ্যই দ্রুত সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবো।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত